‘প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে’

কর্মশালায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২০ শিশু-কিশোর অংশ নিয়েছে।

শনিবার সিলেটের একটি হোটেলে ইউনিসেফ ও শিশু সাংবাদিকতার তিন দিনব্যাপী কর্মশালার শেষদিনে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে অজিত জ্ঞান জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক।

শনিবার বিকালে সিলেট নগরীর হোটেল নির্ভানা ইনে ইউনিসেফ ও শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার শেষদিনে সনদপত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালায় মৌলিক সাংবাদিকতার ধারণা, সংবাদ ও ফিচার লিখন, শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার সমস্যা ও সমাধান, মোবাইল ফোনে সংবাদ ও ভিডিও প্রতিবেদন তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনারা সবাই বড় হয়ে সাংবাদিক হবেন কি-না জানি না; তবে এ প্রশিক্ষণ আপনাদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে মূল ভূমিকা পালন করবে। বড় হয়ে আপনারা কেউ ডাক্তার হলে মানবিক ডাক্তার হবেন। আপনারা যে পেশাতে যাবেন এই প্রশিক্ষণে শিখানো বিষয়গুলো কাজে লাগবে। মূলত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা আপনাদের জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। ইউনিসেফ ও বিডিনিউজকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর আয়োজনের জন্য।

কলেজ জীবনে সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত হওয়া পরেও নিউজ কভার করেছি। আজকে আমি পিএইচডি, মার্স্টাস করেছি এবং বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য। আমার এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা।”

বিশেষ অতিথি সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী নবেল কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, “আমাদের সময় এ রকম প্রশিক্ষণের সুযোগ ছিল না। এই যে তিনদিনের প্রশিক্ষণটা স্বপ্নের মত ছিল। অত্যন্ত ভাগ্যবান তোমরা যারা বিডিনিউজ ও ইউনিসেফের শিশু সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছ।

“যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছ তারা সবাই যে সাংবাদিক হবে তা ভাবার সুযোগ নেই। সবাই যে সাংবাদিক হতে হবে এরকম কিছু নেই। কিন্তু যে যে পেশায় যাও না কেন এই সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ কাজে লাগবে এটা আমি বিশ্বাস নিয়ে আস্থা নিয়ে বলতে পারব।”

কর্মশালায় জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ২০ শিশু-কিশোর অংশ নিয়েছে। ইউনিসেফের পক্ষ থেকে কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন- ড. মনীষা বিশ্বাস, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশিক্ষক ছিলেন সহ-ফিচার সম্পাদক হাসান বিপুল।

হ্যালোর জেলা তত্ত্বাবধায়ক ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিলেট প্রতিনিধি বাপ্পা মৈত্রের সভাপতিত্বে ও হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাবেক শিশু সাংবাদিক তামিম আহমেদের সঞ্চালনায় সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিশু সাংবাদিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।