২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর লালমাই উপজেলায় কোরবানির পশুর হাট দেখতে গিয়ে অভিযুক্তদের দ্বারা মারধর ও অপহরণের শিকার হন বাদী।
Published : 30 Aug 2024, 11:45 AM
কুমিল্লায় অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণের টাকা আদায় করার অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দুই ভাই ও ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর বুধবার ঠিকাদার সফিউল আলম সোহাগ কুমিল্লার জৈষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম ৯ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন।
সোহাগ জেলার লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের বড় চলুন্ডা গ্রামের মাস্টার বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই গোলাম সারোয়ার, বড় ভাই আবদুল হামিদ ও ভাতিজা কামরুল হাসান শাহীনকে।
গোলাম সারোয়ার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি; আবদুল হামিদ লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং হামিদের ছেলে কামরুল হাসান শাহীন লালমাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক।
এছাড়া গোলাম সারোয়ারের ব্যক্তিগত গাড়িচালক আবদুর রেজ্জাক, সদর দক্ষিণ উপজেলার দত্তপুর গ্রামের মু. শাহআলম, চন্ডীমুড়া গ্রামের মো. আবুল কালামসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর লালমাই উপজেলার পশ্চিম বাজার এলাকায় কোরবানির পশুর হাট দেখতে গিয়ে অভিযুক্তদের দ্বারা মারধরের শিকার হন বাদী। এক পর্যায়ে আসামিরা তাকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে নিয়ে মারধর করে টাকা আদায় করে এবং খালি চেকে স্বাক্ষর রেখে দেয়। পরবর্তীতে আবারও তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করে।
বাদীর অভিযোগ, এ ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ওই সময় থানা কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করেনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী বিল্লাল হোসেন জানান, আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে লালমাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান শাহীন বলেন, “মামলার অভিযোগের ঘটনাটি পুরোপুরি মিথ্যা। বাদী একজন দুর্নীতিবাজ। তিনি ওই সময় নিজেকে লোটাস কামালের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে কুমিল্লা ডিসি অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অপকর্ম করতেন। তখন মন্ত্রীর নির্দেশে আমরা তাকে এড়িয়ে চলতাম।”
সঠিকভাবে তদন্ত করলে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ হবে বলেও জানান তিনি।