“৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনও আমাদের কাছে একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
Published : 04 Feb 2024, 03:59 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশে-বিদেশে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হিসেবে গণ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, “যার কারণে নির্বাচন কমিশন একটা উচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। নির্বাচন কমিশন এই অবস্থান থেকে সরে আসবে না। ভবিষ্যতেও খারাপ নির্বাচনের নজির সৃষ্টি করে ইজ্জত খোয়াতে চাই না।”
রোববার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, “নির্বাচন গ্রহণযোগ্য, নিষ্কণ্টক স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করা কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব না। সংশ্লিষ্ট সবার দায় রয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে চেয়েছিলাম বলেই ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য করতে পেরেছি।
“সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার নিদর্শন সৃষ্টি করেছে। এই নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ না হতো তাহলে এতো বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারতেন না। এমনকি সারাদেশে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী পরাজিত হতেন না।”
নির্বাচনে ভোট রিগিং করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, “যারা চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ রিগিং করা হলে দেশ- বিদেশে সুনাম ক্ষুণ্ন হয়।”
তিনি বলেন, “একটি দেশের গণতান্ত্রিক অবকাঠামো স্থিতিশীল রাখতে নির্বাচন কমিশনকে জনগণের কাছে অধিক আস্থাশীল হতে হবে। সেই জায়গা থেকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ ও নিষ্কণ্টক থেকে কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সবসময় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন আমাদের কাম্য হওয়া উচিত।”
মতবিনিময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনও আমাদের কাছে একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বরং এই নির্বাচনে আমাদের আরও কড়া নজর থাকবে।
“এই নির্বাচনে কোনো খারাপ নজির সৃষ্টি হোক এটা কোনোভাবেই আমরা চাই না। ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া কিংবা ভোট জালিয়াতি করার অভিযোগ পেলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “প্রয়োজনে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হতে পারে। এমনকি গাইবান্ধার একটি আসনে উপ-নির্বাচনের মতো প্রয়োজন পড়লে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করা হবে।”
জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদ, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আট দিন আগে ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী
(ঈগল প্রতীক) আমিনুল ইসলাম মারা যান। এর পরই নিয়ম অনুযায়ী, ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।
পরবর্তীতে ৮ জানুয়ারি ওই আসনের নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণা করে ইসি। নতুন তফশিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আসনটিতে মোট চারজন সংসদ সদস্য পদের জন্য লড়ছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির তোফাজ্জল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আখতারুল আলম ও মেহেদী মাহমুদ রেজা।
আরও পড়ুন:
নওগাঁ-২: মনোনয়ন জমা দিলেন আরও দুই প্রার্থী
নওগাঁ-২ আসনে ভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
নওগাঁ-২: স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচনি কার্যক্রম বাতিল