ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ ও রাস্তা সংস্কারসহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন রাস্তায় শ্রমিকদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তারা কোনো ধরনের গণপরিবহন ও পণ্যবাহী গাড়ি চলতে দিচ্ছে না। গাড়ি না পেয়ে গন্তব্যে যেতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম জানান, শ্রমিকদের ন্যায্য পাঁচটি দাবি জানিয়ে পরিষদের উদ্যোগে গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেটের প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল সেক্টরেও পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একই দাবিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে পরিবহন শ্রমিকরা মানববন্ধন করে।
“কিন্তু এরপরও আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়ায় আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।” বলেন তিনি
শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ মাত্রাতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ করা। সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি ও শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারকারী নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার করা। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া,ভাঙা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার করা।
নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও বিক্রয় গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া ও অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন- অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ রাখা।
শরিয়তপুর থেকে রোববার সিলেটে ঘুরতে এসে ধর্মঘটে আটকা পড়েন আলিমুজ্জামান। সকালে নিজ জেলায় ফিরতে বাস টার্মিনালে গেলে ধর্মঘট চলছে খবর পান।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন জানিয়ে আলিমুজ্জামান বলেন, “এখন কিভাবে ফিরবো, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
সিলেটে থেকে মৌলভীবাজারের গিয়ে অফিস করেন ব্যাংক কর্মকর্তা আসিফ আহমদ। মঙ্গলবার সকালে ধর্মঘটের কারণে অফিসে যেতে পারেননি তিনি।
আসিফ বলেন, “দাবি আদায়ে মানুষকে জিম্মি করে পরিবহন ধর্মঘট পালন করা উচিত নয়। প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা জরুরি।”