Published : 01 May 2025, 06:23 PM
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের একটি উপকেন্দ্রে ট্রান্সফরমারের কপার তারে জড়িয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবক কপার তার চুরি করতে সেখানে প্রবেশ করেছিলেন বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার তারাগুনিয়ায় থানা মোড় এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) নাজমুল হুদা।
মৃত হালিম সর্দার (৪২) ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ষোলদাগ এলাকার বাসিন্দা মান্নান সর্দারের ছেলে।
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মতো সুরক্ষিত জায়গায় যুবকের মৃত্যুর বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আলাদা বক্তব্য দিয়েছে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুতের তারাগুনিয়া উপকেন্দ্রের উপ মহাব্যবস্থাপক মনোয়ারুল ইসলামের দাবি, “ওই যুবক ট্রান্সফারে ব্যবহৃত উচ্চমূল্যের কপার তার চুরি করার জন্য সেখানে প্রবেশ করেছিলেন।”
পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হুদা মোবাইল ফোনে বলেন, “ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে চুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত এক লাইনম্যান বলেন, “পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যারা অংশ নিয়ে থাকেন, শর্তানুযায়ী তাদের প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কৌশলী ও দক্ষতা থাকতে হবে।
“কিন্তু এই শর্ত না মেনে অনভিজ্ঞ ও সস্তায় পাওয়া লোকবল দিয়ে কাজ করতে গিয়ে গেল ১০ বছরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যখনই এ জাতীয় ঘটনা ঘটে, তখনই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে থাকেন।”