১৯৯৭ সাল থেকে ২৬টি সাহিত্য উৎসবে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২৮ জন গুণী মানুষকে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
Published : 31 Jan 2024, 07:54 PM
কবিতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার নেত্রকোণায় খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে গোলাম ফারুক খানকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি (১ ফাল্গুন) জেলা শহরের মোক্তারপাড়ার বকুলতলায় নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাহিত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবে প্রতিবারের মত এবারও নির্বাচিত কবির হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
নেত্রকোণা সাহিত্য সমাজের পক্ষ থেকে বুধবার গোলাম ফারুক খানের নাম ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরান।
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে ২৬টি সাহিত্য উৎসবে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২৮ গুণীকে খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
তাদের মধ্যে প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার, কবি রফিক আজাদ, কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, আধ্যাপক কবীর চৌধুরী, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি মহাদেব সাহা, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কত সাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কথা সাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, কবি হেলাল হাফিজ, লেখক ও শিল্পী বুলবন ওসমান, কবি আবু হাসান শাহরিয়ার, কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক, কবি আলতাব হোসেন, কথা সাহিত্যিক নাসরিন জাহান, কথা সাহিত্যিক রাহাত খান, কবি নুরুল হক, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, কবি মোহাম্মদ রফিক, কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার, কবি আসাদ চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি খালেদ মতিন, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান, কথা সাহিত্যিক মারুফুল ইসলাম, কথা সাহিত্যিক ধ্রুব এষ, কথা সাহিত্যিক পাপড়ি রহমান ও কবি শামীম রেজা রয়েছেন।
গত বছর শামীম রেজা ও পাপড়ি রহমানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
গোলাম ফারুক খানের জন্ম নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সিংহেরগাঁয়ে ১৯৫৮ সালের ১ অক্টোবর। তার পিতামহ বিখ্যাত বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ। বাবা খান মোহাম্মদ আবদুল হাকিম চল্লিশের দশকের প্রধানতম কবি।
নেত্রকোণায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে কবি ফারুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) সদস্য হিসেবে কর্মজীবনের একাংশ কাটিয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ব ব্যাংকের শিক্ষা বিভাগে সিনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তার কাব্যের মধ্যে ‘গলুইয়ে কাঠের চোখ ভিজে ওঠে’। গদ্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- যতীন সরকারের চিন্তাবিশ্ব: একটি চকিত পরিক্রমা, শিলঙে রবীন্দ্রনাথ, প্রবল অজেয় বাণী তব, প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ: শিক্ষকদের শিক্ষক, আমাদের দাদাভাই আর কচি ও কাঁচা, মুক্তির মন্দির-সোপানতলে: মুনীর চৌধুরী, নির্বাসন উল্লেখযোগ্য।
বিশ্বকবিতার গুরুত্বপূর্ণ কবিদের কবিতাও অনুবাদ করেছেন গোলাম ফারুক খান। তার মধ্যে স্যাঁ-জন পের্স, ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা ছাড়াও রুশ কবিদের কবিতা রয়েছে।