নিউ জার্সির প্যাটারসনে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন ৫ বন্ধু, তাদের দুজন মারা গেছেন, তিনজন হয়েছেন আহত।
Published : 22 Aug 2022, 01:27 AM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে সড়ক দুর্ঘটনা নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি দুই তরুণ।
তাদের একজন বস্টনের এমআইটিতে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার উদ্দিন আহমেদ (১৯) এবং অন্যজন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র শাকিল আলী (১৯)।
দুর্ঘটনায় তাদের আরও তিন বন্ধু আহত হয়েছেন। তারা হলেন তাহমিদুর চৌধুরী (১৯), সুব্রত চৌধুরী (১৯) এবং যসোয়া রিভারা (১৮)।
শুক্রবার রাতে নিই জার্সির বাংলাদেশি অধ্যুষিত প্যাটারসন শহরে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা একটি পিচে ছিলেন, তার সঙ্গে একটি মার্সিডিজ গাড়ির সংঘর্ষ হয় বলে নিউ জার্সি রাজ্যের প্যাসেইক কাউন্টি প্রসিকিউটর এবং লিটল ফলস পুলিশ জানিয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলেই শাহরিয়ারের মুত্যু হয়। পাশের সেন্ট যোসেফ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান শাকিল। বাকি তিনজন ওই হাসপাতালেই রয়েছেন।
প্যাসেইক কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস জানায়, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। নিহত দু’বন্ধুর লাশ রোববার পর্যন্ত মর্গে ছিলছে। ময়না তদন্তের পর তা স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত শাহরিয়ারের মা-বাবা সিলেটের এবং শাকিলের মা-বাবা পাবনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে বসতি গড়েন বলে প্যাটারসন সিটির বাসিন্দা এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই তরুণরা গত বছর প্যাসেইক কাউন্টি টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে। ৫ বন্ধু একটি দোকানে আইসক্রিম কিনতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে।
এক সঙ্গে দুই তরুণকে হারিয়ে প্যাটারসন শহরের বাঙালিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমেছে। নিহত মেধাবী দুই তরুণকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল।
নিহত শাহরিয়ার ‘সবুজ বাংলা’ টিভির টেকনোলজি ডিরেক্টর ছিলেন। প্যাটারসন এলাকার কংগ্রেসম্যান বিল প্যাসক্রলের নামে তিনি একটি অনলাইন টিউটোরিং এ্যাপ চালু করেছেন হোমওয়ার্কে সহযোগিতার জন্যে। শাকিল ছিলেন ইউনিভার্সিটিতে চালু ‘ফিউচার বিজনেস লিডারস অব আমেরিকা’র প্রেসিডেন্ট। এটি হচ্ছে ইউনিভার্সিটির নেতৃস্থানীয় একটি কর্মসূচি, যেটি রবোটিক্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাবের পরিপূরক। অ্যামাজনের ইন্টার্ন হিসেবে কর্মরত শাকিল ট্রেজারার ছিলেন ‘রোহ ক্যাপ্পা অনর সোসাইটি’র।
এদিকে নিহতদের দাফন এবং আহতদের চিকিৎসায় তাৎক্ষণিক সহযোগিতার অভিপ্রায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ৫ জনের বন্ধুরা ‘গো ফান্ড ফর মি’ একাউন্ট খুলেছেন। ৩০ হাজার ডলার সংগ্রহের লক্ষ্যে খোলা এই একাউন্টে রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রী ১৫ হাজার ৫৪৫ ডলার দিয়েছেন।