কানাডার টরন্টোতে পুনর্মিলনী করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
২৪ ফেব্রুয়ারি শহরের গ্র্যান্ড সিনামন ব্যাঙ্কোয়েট অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে এ আয়োজন করে 'জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন কানাডা'।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসীমউদ্দিন আহমেদ।তিনি সম্মাননা তুলে দেন সৈয়দ শামসুল আলমকে।
১৪তম ব্যাচের মামুন কায়সারের তত্ত্বাবধানে এবং ২৭তম ব্যাচের আশরাফ রানার পরিকল্পনায় সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিলো নব্বই দশকের নায়ক-নায়িকাদের মতো সাজ-অভিনয়-নাচ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের চিত্রায়ণ ও স্মৃতিচারণ।
অনুষ্ঠানে আসা সাবেকরা তাদের পছন্দের জনপ্রিয় সব নাটক-সিনেমার পছন্দের চরিত্রের সাথে মিলিয়ে সযত্নে সেজে আসেন। খোঁপায় বড় ফুল লাগিয়ে ১৩তম ব্যাচের কামরুন নাহার পারভীন সাজেন তারকা শান্তা ইসলাম, ২৬ ব্যাচের হাসি রহমান যেন বিপাশা হায়াত। বাকের ভাই ও মুনার অসাধারণ চোখ ধাঁধানো সাদৃশ্য নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন ১৪তম ব্যাচের শামিমা নাসরিন মিলি ও তার স্বামী ভিক্টর গোমেজ।
অন্যদিকে নাগিন ছবিতে সাপুরের চরিত্রে ওমরেশ পুরীর ভয়ানক সেই রূপ নিয়ে সবাইকে আতঙ্কিত করছিলেন ১২তম ব্যাচের আহসান কুতুব জোনাক। তৎকালীন ক্যাম্পাসের এই তারকা খেলোয়াড় একই সঙ্গে সেজেছিলেন সুজন মাঝি। আরেক তারকা খেলোয়াড় ১৩তম ব্যাচের ফয়েজ নূর ময়না হয়ে উঠেছিলেন রজনীকান্ত। ৩০ ব্যাচের সাবেক জাবি ছাত্র তানভীর সবুজের উদাসী হীমু সাজ ছিলো আকর্ষণীয়। তার ছেলে সাইফানকে তিনি সাজিয়েছিলেন কার্টুন চরিত্র মিকি মাউসের পোশাকে।
ছোটো বোনদের আব্দারে ৪র্থ ব্যাচের সৈয়দ শামসুল আলম এসেছিলেন এটিএম শাসুজ্জামানের সাজে। খোলা চুলে রঙিন ফুল এঁটে তিন জন সাবেক জাবিয়ান সেজেছিলেন মৌসুমী। ১৪তম ব্যাচের মামুন কায়সার টরন্টোতে সবার কাছে জনপ্রিয় একজন সংগীত শিল্পী। তিনি এসেছিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদের সাজে। ‘মামনিয়া’ গানের তালে শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক আয়োজনে ভিন্ন মাত্রা দেন তিনি। ২৪তম ব্যাচের আফরিনা রহমান গান গেয়েছেন, সঙ্গে নাচিয়েছেন সবাইকে।
আয়োজক দলের অন্যতম সদস্য সাবেক জাবি শিক্ষক শামসুর রহমান বাশার বলেন, “আমরা একটি পরিবারের মত। এই পরিবারের সকল সদস্য নিজেদের মধ্যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ঐতিহ্য অটুট রাখবে আগামীতেও। এই আমার প্রত্যাশা।”