রোমানিয়া আগামী কয়েক বছরে ৫ লাখ জনশক্তি আমদানি করবে। বাংলাদেশ থেকে নিবে প্রচুর কর্মী। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এদেশে কর্মীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু সুবিধা।
Published : 16 Nov 2022, 04:33 PM
জার্মানির নুরেমবার্গ থেকে রোমানিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্লুজে আমার এক বন্ধুর আমন্ত্রণে কয়েকদিন আগে উড়েছিলাম। সেখান বিমান বন্দরে আমাকে কড়া ইমিগ্রেশনের শিকার হতে হল। রোমানিয়া ইউরোপিয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হলেও সেনজেন এর সদস্য নয়।
এ কারণেই কড়াকড়ি, তাছাড়া আমি বহন করছিলাম বাংলাদেশের পাসপোর্ট। অভিবাসন কর্মী আতশি কাচ দিয়ে খুঁটিয়ে দেখার মতো করে আমার পাসপোর্ট ও জার্মানির পরিচয়পত্র পরীক্ষা করলেন। শোনা যাচ্ছে, আগামী জুনের মধ্যে রোমানিয়া সেনজেনে যোগ দেবে, তখন এ সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে না।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সোজা হোটেলে গিয়ে উঠলাম। পরদিন সকালে আমার বন্ধু হোটেল থেকে আমাকে উঠিয়ে নিল। সে ছিল ক্লুজ থেকে ১৪০ কি.মি. দূরে নিজের শহরে। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল হোটেল থেকে ১৭৫ কি.মি. দূরে সিবিইউ শহরে। সেখানেই ছিল আমাদের সভা আরও কয়েকজন ব্যবসায়ির সাথে।
শহরটি রোমানিয়ার একেবারে মাঝামাঝি। ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। সেখানে জার্মান বংশোদ্ভূতরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। শহরটি হেরমান স্টাড নামেও পরিচিত। হেরমান স্টাড শব্দ দুটি জার্মান। এই শহরের সাবেক মেয়রই বর্তমানে রোমানিয়ার রাষ্ট্রপতি। তিনি একজন জার্মান বংশোদ্ভূত রোমানিয়ান।
সিবিইউ শহরে আমাদের সভা প্রায় তিন ঘণ্টার উপরে স্থায়ী হয়েছিল। তারপর আমরা শহরের ভিতর একসাথে একটু ঘোরাফেরা করলাম। তখন আমার রোমান বন্ধু কয়েকটি দোকানের দিকে নির্দেশ করে বললো দেখতে পাচ্ছিস এখানে আশি থেকে নব্বই ভাগ কর্মীই বিদেশি। আসলেই তাই।
তিনি বললেন, “অধিকাংশ নবীন প্রজন্ম আমাদের দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আর যারা আছে তারা কাজ করতে চায় না। একদিন কাজ করলে দুই দিন বিশ্রাম নেয়। যার কারণে আমরা মারাত্মক কর্মী সংকটে ভুগছি।”
রোমানিয়া ইউরোপিয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। রোমানিয়ানদের যারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে তাদের অধিকাংশই জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়ামে আছে। এর মধ্যে জার্মানিতে রোমানিয়ান কর্মীর সংখ্যা সর্বাধিক।
রোমানিয়ান অভিবাসন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ লাখ কর্মী নিবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। এই বছর রোমানিয়ার সরকার ৮০ হাজার কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। ইতিমধ্যে এক লাখ ২০ হাজার কর্মী দেশটি নিয়েছে। কিন্তু তা এ বছরের জন্য যথেষ্ট নয়। অভিবাসন বিভাগের তথ্যানুযায়ী আগামী দুই বছরে ইউরোপের এই দেশ আরও চার থেকে পাঁচ লাখ কর্মীকে অভিবাসন সুবিধা দিবে।
রোমানিয়ার আইন অনুযায়ী, যে কেউ চাইলেই কর্মী আমদানি করতে পারেনা। জনশক্তি আমদানির জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কাজ করে। কারোর একটি বড় প্রতিষ্ঠান থাকলেই তিনি কর্মী অন্যান্য দেশ থেকে নিতে পারবেন না। কোন কোম্পানির কর্মী প্রয়োজন হলে তারা রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করবে, তারপর চুক্তি অনুযায়ী রিক্রুটিং কোম্পানিগুলো কর্মী বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী জোগাড় করে দিবে।
বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করে এবং আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অণ্যতম প্রধান উৎস হল জনশক্তি রপ্তানি। মধ্যপ্রাচ্য সবথেকে বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছে। মধ্যপ্রাচ্যের ইমিগ্রেশন পদ্ধতি খুবই অমানবিক।
সেখানে ২০ বছর কাজ করেও কেউ স্থায়ী বসবাসের অনুমতি বা নাগরিকত্ব পায় না। বৈবাহিক সূত্রে, সেখানে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি বিয়ে করার অনুমতিও নেই সেখানে। খুবই দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হয় সেখানে। কিন্তু ইউরোপের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে সব রকম সুযোগই আছে। রোমানিয়াকে ইউরোপিয় ইউনিয়নে যোগ দেবার আগেই ইউনিয়নের সাথে তাদের সকল আইনকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হয়েছে। এছাড়াও দেশটির মানুষজন খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।
রোমানিয়া বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে অপার সম্ভাবনার একটি দেশ। এখানে সরকারিভাবে লোক পাঠানোর সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশ সরকার চাইলে, বেসরকারি যে সকল প্রতিষ্ঠান লোক নিয়োগ করছে সেই সকল প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে এই অপার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
আমার যে বন্ধুর আমন্ত্রণে রোমানিয়া গিয়েছিলাম তিনি নিজেও কর্মী আমদানি করার অনুমতি পেয়েছেন। তিনি তার কোম্পানির বাংলাদেশে একটি শাখা খুলতে চান। এসব কারণেই সে আমার সাহায্য চেয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল।
রোমানিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যেসব প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে তাহলেো-
একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন রিক্রুটিং এজেন্সির চুক্তি হলেই তার কর্মী নিয়োগে কাজ শুরু করতে পারে। তখন এজেন্সি গুলো আগ্রহী কর্মী খুঁজে বের করে এবং কাজের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারে অভিবাসন বিভাগে। কিন্তু অভিবাসন বিভাগ থেকে কাজের অনুমতি প্রস্তুত হয়ে আসতে প্রায় তিন মাস বা তারও বেশি সময় লেগে যায়।
বাংলাদেশে রোমানিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেট না থাকায় ভারত গিয়ে ভিসা নিতে হয়। সেখানেও তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যায়। এতে কর্মী নিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে অথবা অধৈর্য হয়ে ওঠে। আর যেসব কৃষি খামারের মালিক লোক নিয়োগে আগ্রহী তারা সাত মাস পরে কর্মী উপস্থিত হলে তাদেরকে কাজ দিতে পারেননা। কারণ তখন মৌসুম শেষ হয়ে যায়। শীতে রোমানিয়াতে কোন চাষাবাদ হয় না।
বাংলাদেশের একটি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস আছে রোমানিয়াতে। পক্ষান্তরে রোমানিয়ার একটি কনসুলেটও নেই বাংলাদেশে। এ অবস্থা অসম কূটনীতির সাক্ষ্য বহন করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সঠিক তৎপরতা চালালে এ অবস্থার অবসান হতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের কর্মীরা রোমানিয়াতে আসতে পারবে। আমার বন্ধু জোর দিয়ে বলেছে, সে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজের অনুমতি বের করতে পারবে। তার ইমিগ্রেশনে লবি ভালো। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ভিসার ব্যবস্থা যদি ছয় সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যায়, তাহলে অল্প সময়ে বাংলাদেশী কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যদি ন্যূনতম একটি কনসুলেটও চালু করাতে পারে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়া থেকে রোমানিয়াতে যত কর্মী এসেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি। রোমানিয়ানরা বাংলাদেশী কর্মীদের পছন্দ করে। বাংলাদেশি কর্মীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছে।
রোমানিয়াতে যেসব ক্ষেত্রে কাজের লোকের বেশি প্রয়োজন সেগুলি হলো: ভারি গাড়ির চালক, পরিচ্ছন্ন কর্মী, রঙ মিস্ত্রী, কাঠ মিস্ত্রী, কৃষি কর্মী, বেকারি কর্মী, ট্রাক্টর চালক, নির্মাণ শ্রমিক, গ্রাহক সেবা (এক্ষেত্রে রোমানিয়ার ভাষা জানা জরুরী), বেভারিজ কোম্পানির কর্মী। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ অদক্ষ শ্রমিক আমদানি করবে দেশটি।
এসব কাজের ক্ষেত্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোনও যোগ্যতা নয়। যাদের প্রাতিষ্ঠানিক পেশাদারী সনদ আছে এবং কাজ করতে পারেন- তারা ভাল বেতন পাবেন। অন্যথায় এমএ পাশ করে এসেও ৫০০ ইউরো ন্যূনতম বেতনের কাজ করতে হবে। একজন রোমানিয়ান নাগরিকের ন্যূনতম বেতন ৪৫০ ইউরো কিন্তু বিদেশিদের ক্ষেত্রে ইইউ মান অনুযায়ী ন্যূনতম বেতন ৫০০ ইউরো নির্ধারিত হয়েছে। এর নিচে কোন কর্মীকে বেতন দেওয়া যাবে না। সবচেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকে পরিবহনের চালক ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। একজন চালকের বেতন ১৩০০ থেকে ১৫০০ ইউরো বা তারও বেশি। নির্মাণ শ্রমিকদের বেতন এক হাজার ইউরোর উপরে।
প্রায় প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করে বিনামূল্য। কর্মীদের জন্য এক থেকে দু বেলা খাবার ব্যবস্থা করে থাকে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্ম দিবসে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান মাসিক ভাতা দেয় খাবারের জন্য। কর্মীদের নিজে রান্না করে খেতে হয়। তবে সে সব প্রতিষ্ঠান দুপুরের খাবার সরবরাহ করে তারা দুপুরে মুসলিমদের কথা চিন্তা করেই শুকরের মাংস দেওয়া বিরত থাকে। এছাড়াও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান টোকেন দিয়ে দেয় কর্মীদের খাবারের জন্য, তারা তা দিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতির সময়।
যারা রোমানিয়াতে কাজের জন্য আসতে চান বা আসবেন, তাদের পেশাদারী সনদের ক্ষেত্রে কোন মিথ্যা বা জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া ঠিক হবে না। এখানে এসে তারা ঠিকমত কাজ করতে না পারলে চাকরি হারাবে। সেক্ষেত্রে আইনগত কোন ব্যবস্থাও নিতে পারবে না কর্মদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সঠিকভাবে কাজ না করতে পারলে তাকে দেশে ফেরত পাঠাবে অথবা ন্যূনতম বেতনের সাধারণ কোন কাজ করতে হবে।
যারা রোমানিয়াতে আসতে আগ্রহী তাদের প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন হবে: জীবন বৃত্তান্ত (Curriculum Vitae), স্বাস্থ্যগত সনদ, কারিগরি শিক্ষাসহ ও অন্যান্য শিক্ষাগত সনদ, চালকদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, পুলিশ রিপোর্ট, পাসপোর্ট।
বাংলাদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রে সবথেকে বড় যে অভিযোগটি এসেছে তাহলো, রোমানিয়াতে কাজে করতে এসে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পালিয়ে যায়। রোমানিয়ার বন্দরনগরী কনস্টানতায় একটি প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন বাংলাদেশি কাজ করতে এসে ৮০ জনই পালিয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম কাজ কারো করা উচিত হবে না। এসব ক্ষেত্রে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থা নিলে দেশে ফিরতে হবে। এখন ইইউ এর কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকে, সেক্ষেত্রে অন্যদেশে পরিচয় পাল্টিয়ে বৈধ হওয়াও সম্ভব হবে না, যদি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে। আর এই মানসিকতা দেশের জন্য বদনাম ও কাজের বাজার নষ্ট করবে।
এর চেয়েও বড় কথা হল ইউরোপের অন্য দেশে অবৈধ অভিবাসী হয়ে থাকার চেয়ে রোমানিয়াতে একটু কম বেতনে কাজ করা হাজার গুণ ভাল। আর অন্যান্য দেশে বেতন বেশি হলেও সেখানে থাকা খাওয়ার খরচ অনেক বেশি। থাকার জন্য কমপক্ষে ২০০ ইউরো, খাবার জন্য ২০০ থেকে ২৫০ ইউরো খরচ হয়ে যাবে। এরপরও যাতায়াতে ৭০/৮০ ইউরো খরচ হয়ে যাবে। অবৈধ অবস্থায় ৭০০ ইউরোর বেশি উপার্জন করা কঠিন হবে। আর জার্মানিতে অবৈধ অবস্থায় কাজ করার কোন সুযোগই নেই। অবৈধভাবে কাজ করা অবস্থায় ধরা পড়লে ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যে অবৈধ কাজ দেবে তার ৫০ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে জার্মানিতে কালো কাজ পাবার কোন সুযোগ নেই।
সার্বিক বিচারে রোমানিয়াতে থেকে কাজ করা অনেক ভাল। কেউ পাঁচ বছর রোমানিয়ায় কাজ করলে বৈধ কাগজপত্র পেয়ে যাবে। এছাড়া ছুটিতে দেশে ঘুরে আসতে পারবে। কিন্তু অন্যান্য দেশে পাড়ি দিয়ে অবৈধ হয়ে গেলে সে সুযোগ থাকবে না। ইইউ এর যেকোনো একটি দেশে পাঁচ বছরের বা আজীবন থাকার অনুমতি থাকলে তা দিয়ে ইউনিয়নের যে কোন দেশে থাকা বা কাজ করা যায়। যারা পশ্চিমের দেশগুলোতে এসে অবৈধভাবে বসবাস করে তাদের অনেকেই ১০/১২ বছরেও বৈধ কাগজপত্র পায়নি। অনেকেই বৈধ কাগজের জন্য ১০/১২ হাজার ইউরো খরচ করেও বছরের পর বছর দালালের পেছনে ঘোরে। এসব বিবেচনায় একটু ধৈর্য ধরে রোমানিয়াতে কাজ করা অনেক ভাল।
আমার বন্ধু পপ জানিয়েছে, আগামী দুই বছরে সে বাংলাদেশ থেকে অন্তত দশ হাজার লোক আমদানি করতে চায়। কারণ তার অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে যারা কর্মীর সন্ধানে আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকারের উচিত জরুরী ভিত্তিতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে রোমানিয়ার ন্যূনতম একটি পূর্নাঙ্গ কনস্যুলেট অথবা দূতাবাস চালু করা। সেক্ষেত্রে দ্রুত জনশক্তি রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
আর রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এই সুযোগ অন্তত ৫০ হাজার বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি করা। এতে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। এই লক্ষ সফল হলে সবাই ন্যূনতম বেতনের কাজ করলেও দেশ মাসে ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে। আর এক্ষেত্রে ইউরোপে বাংলাদেশ কমিউনিটি দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়াবে।