বাংলাদেশের হাই কমিশনার খলিলুর রহমানের সাম্প্রতিক সফরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
Published : 22 Nov 2022, 01:36 PM
বাংলাদেশ থেকে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন পণ্য ও ওষুধ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো।
বাংলাদেশের হাই কমিশনার খলিলুর রহমানের সাম্প্রতিক সফরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার খলিল ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে অনাবাসী হাই কমিশনারের দায়িত্বও পালন করছেন।
পোর্ট অব স্পেনে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পলা মে উইকসের কাছে সম্প্রতি নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেন হাই কমিশনার খলিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরি ব্রাউন, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পাওলা গোপী-স্কনের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হাই কমিশনার খলিল।
বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য শক্তিশালী করার আলোচনা হয়। সে কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব পণ্য ও ঔষধ পণ্য আমদানির বিষয় উল্লেখ করেন। একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে তারা সম্মত হন।”
সেজন্য বাংলাদেশ থেকে সমঝোতা স্মারকের একটি খসড়া পাঠানোর অনুরোধ করেছেন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বাণিজ্য মন্ত্রী। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ হাই কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া তৈরি করছে, যা অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কিছু আমদানিকারকের সঙ্গেও হাই কমিশনারের বৈঠক হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক এবং চামড়া ও ঔষধজাত পণ্য আমদানি করছেন, তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন হাই কমিশনার।
“তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং কীভাবে তা সহজ করা যায় হাই কমিশনারকে তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন। আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিদ্যমান সমস্যা দূর হলে বর্তমানের ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আমদানি দুই বছরে চার মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হতে পারে।”
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে হাই কমিশনার খলিলের সাক্ষাতের কথা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তিনি তাদের কথা শোনেন এবং কীভাবে তাদের কন্স্যুলার সেবা সহজ করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেন।”
ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার পর তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাতেও মিলিত হন হাই কমিশনার। ২০০৯ সালে কমনওয়েলথ সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সফরের কথা স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট পলা মে উইকস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং তার সময়কালে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।”
দুই দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো জোরদার করার লক্ষ্যে দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত পরামর্শ সভার বিষয়ে সমঝোতা স্মরক (এমওইউ) সইয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রেসিডেন্ট পলা মে উইকস।