কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করে বিবৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে স্বীকার করে তা কাটিয়ে উঠেতে চাচ্ছেন প্রবাসী বিএনপি নেতারা।
Published : 18 Jan 2015, 12:40 AM
শুক্রবার নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে একটি রেস্তোরাঁয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির যৌথ এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক ওই ঘটনায় সমস্যায় পড়ার কথা স্বীকার করা হয়।
তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বাদল বলেন, ৬ কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
“একইসাথে তিলে তিলে গড়া যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় প্রবাসীদের অবস্থানকেও নড়বড়ে করা হয়েছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হবে।”
বিএনপি নেতা আকতার হোসেন বাদল বলেন, “ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
ওই ভুয়া বিবৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মজিবুর রহমান মজুমদার এবং জাহিদ এফ সর্দার সাদীকে বহিষ্কারের কথা তুলে ধরে মোহাম্মদ বশির বলেন, “বিএনপিতে কোনো ক্রিমিনালের স্থান নেই। তাদের অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমেই তা প্রমাণ হয়েছে।”
“বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ আবার এমন অপকর্মে লিপ্ত হয়, তাহলে তাদের পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে,” হুঁশিয়ারি দেন বাদল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা হুমকি দেন, শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ না করলে প্রবাস থেকে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হকের সমালোচনাও করেন তারা।
মোহাম্মদ বশির বলেন, “এতদিন রাজনীতিবিদদের মুখে রাজনীতির কথা শুনেছি, কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মুখে রাজনৈতিক বক্তব্য শুনছি। তারা মানুষকে গুলি করে মারার হুমকি দিচ্ছেন, বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসাবে আখ্যায়িত করছেন, আরেকজন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করছেন। মনে হচ্ছে এরা সরকারি কর্মচারী নয়, আওয়ামী লীগের মস্তবড় নেতা।”
তারেক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মিজানুর রহমান, বিএনপি নেতা শহীদুল্লাহ পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আলী, নিজামুল শাহীন, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আহাদ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন।