বাঙালি অধ্যুষিত লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে আবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত লুৎফুর রহমান।
Published : 07 May 2022, 01:45 AM
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে নতুন মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে তিনি বর্তমান মেয়র লেবার পার্টির জন বিগসকে প্রায় সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান।
জন বিগস গত সাত বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে ২০১৪ সালে টাওয়ার হ্যামলেটসে দ্বিতীয়বারের মত মেয়র পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন লুৎফর। তবে পরের বছর ভোট জালিয়াতি করে মেয়র হয়েছিলেন বলে প্রমাণিত হওয়ায় তখন নতুন করে ভোট হয়; যাতে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
২০১০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশি অধ্যুষিত বারা কাউন্সিলে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সালের ভোটে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং তাকে মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এ কারণে গত পাঁচ বছর তিনি নিবার্চনে অংশ নিতে পারেননি।
এবার বৃহস্পতিবারের ভোটে আসপায়ার দলের প্রার্থী লুত্ফুর পেয়েছেন ৪০ হাজার ৮৮৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিগস পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৮৭ ভোট। নির্বাচনে মোট ভোট পরে ৮৬ হাজার ৯টি।
বিজয়ী হওয়ার পর লুৎফুর বলেন, “জনগণ আমাকে ও আমার দলকে আরেকবার সুযোগ দিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসকে এবং আমাদের ভবিষ্যতকে রিবিল্ড করতে। আমি সকল কমিউনিটর প্রত্যেককে সেবা দিতে চাই। আমি বাঙালি, অবাঙালি, সাদা-কালো সকল কমিউনিটির মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ তারা দলে দলে এসে ভোট দিয়েছেন।
“বারার মানুষের উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। তারা কোনটি সঠিক কোনটি ভুল তা বুঝতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার পরেও তারা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। আমার উপর বিশ্বাস রেখেছেন।“
প্রথম দফা প্রথম পছন্দের ভোট গণনায় লুত্ফুর ভোট পান ৩৯ হাজার ৫৩৩ এবং বিগস পান ২৭ হাজার ৮৯৪ ভোট। দুই প্রাথীর্র কেউ মোট ভোটের ৫০ শতাংশের ভোট পাননি তাই আবার দ্বিতীয় পছন্দের ভোট গণনা হয়।
এতে দ্বিতীয় পছন্দের ভোটেও লুৎফুর এগিয়ে যান, যা মোট ভোটের ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ। পরে তাকে নিবার্চিত ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় প্রার্থী লিবডেমের রাবিনা খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৩০ ভোট।
শনিবার টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলরদের নিবার্চনের ভোট গণনা করা হবে। ৪৫টি কাউন্সিলার পদে লেবার ও লুৎফুররে আসপায়ার দলসহ অন্যান্য দলের প্রাথী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
আরও পড়ুন:
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |