লন্ডনে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ইউকে ও সাপোর্ট লাইফ ইউকে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন শফিক রেহমান।
Published : 21 Jun 2017, 11:43 PM
পূর্ব লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে শনিবার এই মতবিনিময় ও ইফতার অনুষ্ঠান হয়।
পেশাগত কারণে এক সময়ে যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পাদক শফিক রেহমান মূল্যবোধের সঙ্কটের এই সময়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেন।
যায়যায়দিনের এক সময়ের সম্পাদক শফিক রেহমান প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। মতবিনিময় সভায় এই বিষয়টিও আসে।
শফিক রেহমান বলেন, “জামিন পেতে আমাকে আপিল বিভাগে মামলা করতে হয়েছে, আপিল বিভাগের রায়ে আমি জামিন এবং পরবর্তীতে পাসপোর্ট ফেরত পাই।”
একাত্তরে লন্ডনে বিবিসিতে চাকরির সময় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করার কথাও বলেন বর্তমানে বিএনপিঘনিষ্ঠ শফিক রেহমান।
কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. কে এম এ মালিক বলেন, বাংলাদেশে বর্মান সরকার সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উপর দমননীতি চালাচ্চে।
সাপোর্ট লাইফের সভাপতি ড. মামুন রহমান বলেন, “সরকার জনগনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের পথ বেছে নিয়েছ।”
সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন বলেন, “সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের গলা টিপে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হল ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা, লন্ডন মেইল সম্পাদক এম এ আজিজ, সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমাদুল হক চৌধুরী, সাপ্তাহিক দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, বাংলা টিভির চীফ রিপোর্টার এম এ কাইয়ুম, আলিয়ার হোসেন, ওলিউল্লাহ নোমান, মাহবুব রহমান, নাশিত রহমান, নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, আনোয়ার হোসেন, নাসিম চৌধুরী, আনজুমান আরা বেগম চৌধুরী, শিহাবুজ্জামান কামাল, তমিজ উদ্দীন আহমেদ, মাহাদী হাসান, ইকবাল হোসেন, নাজির আহমেদ, ইকবাল হাসান নান্টু, আব্দুল আউয়াল মামুন, এনাম চৌধুরী, আখতার মাহমুদ, শোয়েব কবীর, মো. মোহসীন প্রমুখ।