আমেরিকার বসন্তের ‘পুষ্প পাখি’ হামিংবার্ড

আমার সব থেকে প্রিয় পাখি। পৃথিবীর সব থেকে ছোট পাখি। সারাক্ষণ গুন গুন করে গান করে, তাই এই পাখির নাম ‘হামিংবার্ড’।

ছবি: ইন্টারনেট ছবি: ইন্টারনেট

হামিংবার্ড ওদের ডানা দিয়ে এই শব্দ করে। ৫-১৩ সেন্টিমিটার (২ - ৫ ইঞ্চি) আকৃতির এই পাখি প্রতি সেকেন্ডে আনুমানিক ৫০ বার তাদের ডানা ঝাপটিয়ে এই শব্দের উৎপত্তি করে। ওরা বহু দিকে উড়তে পারে- সামনে, পেছনে, উপরে, নিচে, ডানে, বামে, উলট-পালটভাবে।

টরচিলিদায় পরিবারভুক্ত এই পাখি ৩০০ প্রজাতির আছে। সব থেকে ছোট বি (মৌমাছি) হামিংবার্ড, ৫ সেন্টিমিটার আয়তন। ওজন ২ দশমিক ৫ গ্রাম।

আমেরিকার স্থানীয় এই পাখি শীতের মৌসুমে হাইবারনেটিং করে। শীতের শেষে বসন্তের শুরুতে এই পাখির সর্বত্র আনাগোনা দেখা যায়। ওরা ফুলের মধু আহরণ করে বেঁচে থাকে।

রঙ-বেরঙয়ের ফুল এদের আকর্ষণ করে। এই কারণে ওরা আমাদের বাড়িতে সর্বত্র, ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়। ওরা দীর্ঘ ও বাকা সরু নলের মত জিহ্বা দিয়ে ফুলের ভেতর থেকে নেক্টার বা মধু আহরণ করে। আমি ওদের নাম দিয়েছি ‘পুষ্প পাখি’।

হামিংবার্ডগুলো খুব স্থানিক হয়। প্রতি বছর একই জায়গায় ফিরে আসে। এরা একে অপরকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে তাদের অধিকৃত এলাকায় ঢুকে পড়লে। এমনকি বড় পাখিদেরও ওরা ধাওয়া করে।

এখন ওরা আমাদের বাড়ির গাছে গাছে। ফুল ফোটা শুরু হতে আরও কিছুদিন বাকি। ওরা এখন গাছের রস অথবা ছোট ছোট পোকা-মাকড় খাবে। ওদের হজম শক্তি খুব ভালো, খুব ঘন ঘন খেতে হয়।

আমি বাড়ির বেশ কিছু গাছে মিষ্টি জলসহ বার্ড ফিডার ঝুলিয়ে দিয়েছি। আমার মেয়ে ওদের পিছু পিছু ছুটে বেড়াতে, ওদের ফিডিং করাতে খুব ভালোবাসে। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা ওদের মিষ্টি কিচির মিচির গুঞ্জন আমাকে বিমোহিত করছে!

লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি

ইমেইল: [email protected]

ছবি কৃতজ্ঞতা: লেখক ও ইন্টারনেট

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!