রাশিয়ায় তৈরি পোশাকের বিশাল সম্ভাবনাময় বাজারে আবস্থান নিতে চাইছে বাংলাদেশ।
Published : 27 Sep 2015, 06:39 PM
রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানির সুযোগ আর সম্ভাবনা খুঁজতে গত কয়েক বছর ধরে মস্কোর আন্তর্জাতিক বস্ত্র ও পোশাক শিল্প মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। সদ্যই শেষ হওয়া ৪৫ তম ফেডারেল ট্রেড ফেয়ার ফর অ্যাপারেল অ্যান্ড টেক্সটাইল ‘টেক্সটাইলজিপ্রোম’ মেলায় এবার বাংলাদেশের পাঁচটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পৃষ্ঠপোষকতায় এই মেলায় যোগ দেয় বাংলাদেশ।
২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মস্কোর ভেদেনখারে এই পোশাক শিল্প মেলায় বিশ্বের ২৯টি দেশের ছোট-বড় প্রায় দুই হাজার পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়।
রাশিয়াতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইফুল হক মেলায় বাংলাদেশ কর্নারের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও নিট পোশাকের সঙ্গে রুশরা বেশ ভাল করেই পরিচিত। বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের গুণগত মান ও কম দামের সুযোগ থাকায় রাশিয়ার বাজারে সহজেই শক্ত অবস্থান নেওয়া সম্ভব। এ খাতে বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
দুই দেশের ব্যানিজ্যিক সম্পর্ক আরও বেগবান করতে রাশিয়া-বাংলাদেশ উভয়ই বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার পোশক শিল্পের এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ ব্যাপারে রপ্তানিকারকদের সব ধরনের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস তৈরি রয়েছে।”
মেলায় অংশ নেওয়া প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসানুজ্জামান টিটো জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের গুণগতমান, প্রতিযোগিতামূলক দাম এবং দ্রুত সরবরাহের নিশ্চায়তা সম্পর্কে এখানকার আমদানিকারদের কাছে তুলে ধরা হয়। রাশিয়ার পোশাক বাজারে বাংলাদেশি পণ্য খুব শীঘ্রই আরও ভালো একটি অবস্থান নিতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইংয়ের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ থেকে মেলায় যোগ দেওয়া পোশাক ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
এ সময় কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশফাকুল ইসলাম বলেন, “ইউরোশিয়ান অর্থনৈতিক কমিশনের দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল থাকায় তারাই কিছুটা রাশিয়া থেকে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।এ ছাড়া বাকি সব দেশকেই রাশিয়ায় পণ্য রপ্তানিতে নির্ধারিত শুল্ক দিতে হয়।”
রাশিয়ায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিকাশ না হওয়ার প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উঠতে ইউরোশিয়া অর্থনৈতিক ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগ দিতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি আরও বলেন, “রাশিয়ায় তৈরি পোশাকের বাজার ধরতে এবং সেই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বানিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে অনক দিন ধরে আটকে থাকা ‘যৌথ কমিশন’ গঠনের চুক্তির দ্রুত স্বাক্ষর হওয়া প্রয়োজন।”
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের ঢাকায় অথবা মস্কোতে বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) পদ্ধতিতে বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় [email protected]