বাংলাদেশের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত টম হান্ট বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ভুলবার মত নয়।”
Published : 25 Mar 2024, 11:45 PM
মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রহণ করা ‘পূর্ববাংলায় জেনোসাইড বন্ধ ও বাংলাদেশের স্বীকৃতি’ শীর্ষক প্রস্তাবের আদলে নতুন করে ওই জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হাই কমিশন আয়োজিত বাংলাদেশ গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। পরে হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে হাই কমিশনার মুনা তাসনীম বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মাটিতে জেনোসাইড সংঘটিত হওয়ার জোরালো তথ্য ও সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরও এটাকে স্বীকৃতি দিতে গোটা বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে।“
‘বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পথ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় নেতারা অংশ নেন।
সেই সময়ে সানডে টাইমসে সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘জেনোসাইড’ শিরোনামের নিবন্ধসহ টেলিগ্রাফ ও বিবিসির মতো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানিদের ভয়াবহতার চিত্র উঠে আসার উদাহরণ টানেন হাই কমিশনার।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান স্যার পিটার শোর এমপি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চালানো নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব তুলেছিলেন।
“এরপর অ্যাকশন বাংলাদেশ পূর্ব বাংলায় জেনোসাইড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ও বাংলাদেশের স্বীকৃতি দিয়ে আরেকটি প্রস্তাব তুলেছিল এবং সেটা সমর্থন করেছে একাধিক দলের ২৩৩ জন পার্লামেন্ট সদস্য।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত টম হান্ট বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ভুলবার মত নয়।”
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব তোলার ক্ষেত্রে হাই কমিশন এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে তার সমর্থন প্রকাশ করেন কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার উপদেষ্টা ও অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক লর্ড রামি রেঞ্জার।
বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের প্রস্তাব উত্থাপনে নিজ দেশের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান ব্রিটিশ এশিয়ান কনজারভেটিভ লিংকের চেয়ারম্যান লর্ড সুরি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজিয়া এম হাবিব, স্বাধীনতা ট্রাস্টের ট্রাস্টি ভ্যাল হার্ডিং বক্তব্য দেন।