প্রাথমিকভাবে ১০ জন বাংলাদেশি ও ৬ জন মিশরীয় নাগরিককে পাঠানো হয়েছে দেশটিতে।
Published : 16 Oct 2024, 01:09 PM
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার দেশ লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ইতালিতে আসা অবৈধ অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইতালি সরকার। প্রাথমিকভাবে ১০ জন বাংলাদেশি ও ৬ জন মিশরীয় নাগরিককে পাঠানো হয়েছে দেশটিতে।
মঙ্গলবার ইতালির মূলধারার গণমাধ্যম ‘ইল মেসাজ্জেরো’ একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে আসা বন্ধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয় মেলোনি সরকার। এর ধারাবাহিকতায় অবৈধ অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় স্থানান্তরের জন্য ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর দেশটির প্রধানমন্ত্রী এদি রামার সঙ্গে চুক্তি করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি৷
পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমতি নিয়ে প্রথমবারের মত রোববার লিবিয়ার সাবরাতা ও জোয়ারা শহর থেকে ছেড়ে আসার দুটি ছোট নৌকা থেকে ১০ জন বাংলাদেশি ও ৬ মিশরীয় নাগরিককে উদ্ধার করে ‘মারিনা মিলিটারি’ নামের জাহাজ। পরে তাদের নিয়ে আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরের উদ্দেশ্যে রউনা দেয় জাহাজটি।
আলবেনিয়ার বন্দর প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, অভিবাসীসহ জাহাজটি মঙ্গলবার বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। পরে সেখান থেকে তাদের জাদির শহরের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মানুযায়ী উদ্ধারকৃত অভিবাসীরা আলবেনিয়া থেকে আশ্রয়ের আবেদন করবেন এবং সেখানে থাকা ইতালীয় বিচারক দিয়ে সেই আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ফলাফল জানানো হবে। এই প্রক্রিয়া সর্বোচ্চ ২৮ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ইতালি সরকার।
এতে ২৮ দিনের মধ্যেই জানা যাবে যে কোন অভিবাসীর আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করা হবে কিনা। যাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে, তারা ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন এবং বাকিদের ইইউ অর্থায়নে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
সম্প্রতি ইতালিতে প্রকাশ করা ‘পায়েসি সিকুরি’ বা নিরাপদ দেশের তালিকায় নাম উঠে বাংলাদেশের। তাই যেসব দেশে যুদ্ধ বা দেশত্যাগের মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, এসব নিরাপদ দেশের নাগরিকদের ইতালিতে আশ্রয় আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলে জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইতালির এমন উদ্যোগের পর ইইউ-এর আরো ১৫টি দেশ আলবেনিয়ার সঙ্গে চুক্তির কথা জানিয়েছে। ইতালির মত এসব দেশে থাকা অভিবাসীদের মধ্যে যারা আশ্রয় আবেদন করবে, তাদের আলবেনিয়ায় পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে ভেনিস প্রবাসী কামরুল হাসান বলেন, “অবৈধভাবে ইতালিতে আসা বন্ধ করতে সরকারের এ উদ্যোগ। তারা চায় বৈধভাবে দক্ষ শ্রমিকরা ইতালিতে আসুক। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার দিয়েই জনপ্রিয়তা পায় ইতালির ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ‘ফ্রাতেল্লি দি ইতালিয়া’। পরে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন জর্জা মেলোনি।”