মোর্শেদ হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৭তম বিজ্ঞানী যিনি এই সম্মাননা পেলেন।
Published : 24 Jan 2025, 11:58 AM
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিজ্ঞান অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমি’ (টিডাব্লিউএএস) এর ফেলো হলেন বাংলাদেশি-কানাডিয়ান বিজ্ঞানী মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ।
মাইক্রোবায়োলজিতে অবদান এবং বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, শিক্ষা ও ক্লিনিক্যাল সেবায় নেতৃত্ব দেওয়ায় তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মোর্শেদকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করে সংস্থাটি এবং চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে তার ফেলোশিপ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৪৬৩ জন ফেলোকে ১১২টি দেশ থেকে নির্বাচিত করেছে বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমি। এর মধ্যে ৩৯২ জন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে। ২০২৩ সালে এ অঞ্চল থেকে ৪৭ জন ফেলো নির্বাচিত হন।
এর আগে ১৯৮৯ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ শমসের আলী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। মোর্শেদ হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১৭তম বিজ্ঞানী যিনি এই সম্মাননা পেলেন। উন্নয়নশীল দেশে বিজ্ঞান বিষয়ক যোগাযোগে অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়, যা তিনি রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ বর্তমানে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের ক্লিনিক্যাল অধ্যাপক এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরির ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজিস্ট। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি এ পদে আছেন।
১৯৯৬ সালে কানাডায় যাওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি), ঢাকা শিশু হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেছেন।