এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টাভাঙ্গারের মেয়র সিসেল কনউৎসেন হেগডাল।
Published : 29 Apr 2024, 12:21 PM
‘আইলো আইলো আইলো রে রঙে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে।’ নানা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নরওয়ের স্টাভাঙ্গার শহরে বৈশাখী মেলা করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
রোববার স্টাভাঙ্গার শহরের সুন্দে বা কিরনেভিক কমিউনিটি সেন্টারে বাংলা নতুন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করেন তারা।
বাংলাদেশ সোসাইটি অফ রোগাল্যান্ড (বিএসআর) এর উদ্যোগে এ আয়োজনে মান্দাল, বার্গেন শহর থেকেও বাংলাদেশিরা জড়ো হন। প্রধান অতিথি ছিলেন স্টাভাঙ্গারের মেয়র সিসেল কনউৎসেন হেগডাল। তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও প্রশংসা করেন।
মেলা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে আনা একইরকম বৈশাখী শাড়ি পরেন মেয়েরা। ঝাল মুড়ি, আম মাখা, পিঠা পুলি, কেক, মিষ্টি, ভর্তা, চটপটি-ফুচকা, বিরিয়ানি, বোরহানি, পায়েস, লাচ্ছিসহ আরো অনেক হরেক রকম খাবারের পসরা, শাড়ি, চুড়ি থেকে শুরু করে ছিল পেইন্টিং-এর স্টল। বাদ যায়নি শিশুদের খেলনা ও মেলার ভটভটি গাড়ি, যেমনটি পাওয়া যায় বাংলাদেশের মেলায়।
মেলার দোকানগুলোর নামও ছিল ঐতিহ্য-আশ্রয়ী। যেমন- ‘মিঠাই’, ‘আহা!...র’, ‘লে হালুয়া!’, ‘হ য ব র ল’, ‘ঝাল-মুড়ি’, ‘বৈশাখী বাজার’, ‘ঢাকাইয়া নবাবি’, ‘চটপটি নাকি ফুচকা?’, ‘ইয়ানতুন খাইযান’, ‘আলপনা’, ‘ওয়ার্ল্ড অফ আর্টিস্ট্রি’ ও ‘নর-বান-মাত’ ইত্যাদি। স্টলগুলোর দায়িত্বে ছিলেন অমিত-সুপ্রিয়া, নায়লা-তন্ময়-সৌম্য, তানভীর-ইলোরা, পায়েল-দীপঙ্কর-সুবল, তিন্নি-সামিউল, টিনা-রাব্বানী, নিশি-নাঈম, কান্তা-তানভীর, পূজা, অপর্ণা-অভি ও শামীম আহসান।
দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে এমন মেলায় এসে বাংলাদেশিরা সবাই মেতে উঠেন প্রাণের উল্লাসে, পেতে চান দেশের একটু ছোঁয়া। বিদেশিদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশি পোশাক শাড়ি-চুড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবী-পাজামা পরে, আর ভর্তা থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবারের স্বাদ নিয়ে একদিনের জন্য তারা যেন হতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নাচ, কোরাস, নৃত্যনাট্য, বাঁশি, কবিতা, পিয়ানো ও নাটকের আয়োজন করা হয়। তানজিনা ও হুমায়ূনের উপস্থাপনায় এতে বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন নায়লা, হাবিব, ইনু, পায়েল, তানজিনা, সুপ্রিয়া, কান্তা, দীপঙ্কর, সুবল, অভি, সৌম্য, তানভীর, অপর্ণা, জুবায়ের, দেওয়ান, ফারহানা, পূজা, মুহিদুল, সুমাইতা, অরোরা, হৈমন্তী, রূপেশ, রহিম, কর্ণিকা ও অমৃতা ।
বাংলাদেশের গ্রামীণ বিয়ের চিত্র নিয়ে করা নৃত্যনাট্য ‘নতুন বিয়ের ফুল’ ছিলো উদ্বোধনী পরিবেশনা। নায়লা জাহানের পরিকল্পনায় এতে গ্রামীণ বিয়ের পাত্রপাত্রী দেখা, গায়ে হলুদ, মেহেদী ও বিয়ে প্রথা ফুটে ওঠে। পরিবেশিত হয় আহমেদ তন্ময়ের লেখা আর পরিচালনায় নাটক ‘বোকার স্বর্গ’।
এছাড়া ম্যাশআপ ড্যান্সের কোরিওগ্রাফি করেন সুমাইতা শামস ও নায়লা জাহান। অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধান করেন গোলাম রাব্বানী, দীপঙ্কর চৌধুরী ও ঋতুপর্ণা পাল পায়েল।