বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে থাকা মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে এখন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে।
Published : 15 May 2024, 10:03 PM
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীকে ভোটের ছয় দিন আগে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় দফা অনুষ্ঠেয় ভোটের তফসিলে যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাতিল হওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র হাই কোর্টের আপিল বিভাগ বৈধ ঘোষণা করে। বুধবার বিকালে তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা আনারস প্রতীক বরাদ্দ করেছেন।
অপরদিকে যাচাই-বাছাইয়ের পর একক প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে ছিলেন মো. ওয়াহিদুজ্জামান। এখন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকায় তাকেও মোটরসাইকেল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিকালে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে উভয় প্রার্থীর চাহিদা অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে স্ত্রীর নামে লাভজনক প্রতিষ্ঠান থাকায় মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেও তিনি ব্যর্থ হন।
এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম এক আদেশে ওয়াদুদ মাতুব্বরের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার রায় দেন। বুধবার আদেশ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে।
প্রার্থী ওয়াদুদ মাতুব্বর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমি শুধু আমার অধিকারই ফিরে পাইনি, সালথার মানুষও তার ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে। এ রায় সালথার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারের রায়।”
২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।