বিএনপির নেতাদের দিকে চোখ তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমএর। চমকের ঘোষণা আছে দুই দলেরই। আরেক দল বিএসপির নেতাও ‘ভালো খেলবেন’ বলেছেন।
Published : 23 Nov 2023, 10:13 AM
বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় অটল থাকার মধ্যে রাজনীতিতে ঘটছে নানা নাটকীয়তা, যাতে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন যথেষ্ট আলোচিত হয়ে ওঠার খোরাক পেয়ে যাচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রিক রাজনীতির আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে নিবন্ধন পাওয়া নতুন তিনটি দল, দৃশ্যত যাদের দুটির লক্ষ্য হল বিএনপি থেকে নেতা ভাগিয়ে এনে ভোটে দাঁড় করানো।
তৃণমূল বিএনপিতে শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার যোগ দিয়ে আরও যে ‘চমক’ দেখাবেন বলেছেন, তা এখনও সামনে আসেনি।
এর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা বিএনএম এক দিনে বিএনপির সাবেক চার এমপিকে দলে ভিড়িয়ে আরও ‘বড় চমক’ এর ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
ইসলামী ধারার বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকেও ‘ভালো খেলা’ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারিয়ে দেওয়ার মতো মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
এর মধ্যে আবার বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা তিনটি দল সরকার পতনের ‘এক দফা’ ছেড়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে। কয়েক মাস ধরে ধোঁয়াশায় রাখার পর এসেছে জাতীয় পার্টির স্পষ্ট ঘোষণাও। ভোটে যাচ্ছে তারা।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির দুই জন সদস্য জানিয়েছেন, তারা স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে লড়বেন। সঙ্গে থাকবেন শতাধিক নেতা।
এর মধ্যে বিএনপির দলছুট দলগুলো কী করতে যাচ্ছে, রাজনীতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে থাকা মানুষ দৃষ্টি রাখছেন সেদিকে।
কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ অবশ্য বলছেন, “যত দলই ভোটে আসুক, বিএনপি না এলে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।”
বারবার আসছে চমকের কথা
তৃণমূল বিএনপি ও বিএসপি রোববার থেকে আর বিএনএম বুধবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। সেজন্য হাতে সময় রেখে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে হবে দলগুলোকে।
তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা বিএনপি প্রতিষ্ঠার সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, একাধিকবার মন্ত্রীও হন। পরে মতবিরোধে জড়িয়ে বহিষ্কৃত হন, গঠন করেন নিজের দল।
বিএনপির সাবেক দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও তৈমুর আলম খন্দকারকে মহাসচিব রেখে ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন কমিটি করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনা তৈরি করে দলটি।
তৈমুর আলম দায়িত্ব পেয়েই বলেন, ‘চমক’ আসছে সামনে। কী সেই চমক, সেটা খোলাসা করেননি এখনও।
অন্যদিকে বিএনপিরই সাবেক কয়েকজন নেতাকে সামনে রেখে গঠন করা হয়েছে বিএনএম। গত অগাস্টে এ দলটিকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেওয়ার পরই বোঝা যাচ্ছিল, এবারের নির্বাচনে তারা আলোচনায় থাকবে।
গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সাবেক চারজন এমপিকে দলে ভেড়ানোর আয়োজনে দলটির মহাসচিব মো. শাহ্জাহান সেই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আপনাদের জন্য বড় ধরনের চমক রয়েছে। যিনি বিএনএমের চেয়ারম্যান হবেন, তিনি বাংলাদেশের অত্যন্ত পরিচিত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন রাজনীতিবিদ।”
এর মধ্যে আন্দোলনে ‘পেরে উঠছেন না’ জানিয়ে বিএনপিকে রেখে ভোটে চলে আসার ঘোষণা দিয়েছেন এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সঙ্গে আছে নিবন্ধিত বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। এরাও বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে ছিল এতদিন।
জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তার সময় শেষ হয়ে গেছে। তবে ভোটে আসার ঘোষণা দেওয়ার সময় ইবরাহিম বলেছেন, তফসিল পাল্টাবে বলে আশায় আছেন তিনি। নির্বাচন কমিশন থেকেও তেমন ইঙ্গিত আছে।
তৃণমূলে ফরম বিক্রি ও প্রার্থী বাছাই চলছে সমানতালে
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রির কথা জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সালাম মাহমুদ।
এর মধ্যে কিছু নেতার আসনও বাছাই করে ফেলা হয়েছে।
ঠিক হয়েছে মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে। সাইফুদ্দীনের পরিকল্পনায় আছে চট্টগ্রাম-২, ঢাকা-১৪ অথবা চাঁদপুর-২।
তৈমুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনশ সিটের তিনশটিতে আমি নমিনেশন দেব ইনশাআল্লাহ, একটাও বাদ পড়বে না।”
বিএনপি থেকে নতুন করে কেউ দলে যোগ দিচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিএনপি থেকে কে আইল, কে না আইল সেটা নিয়া চিন্তা করি নাকি আমরা? এটা কি চিন্তার বিষয়? আমরা তো রাজনৈতিক মনোপরিতাপ ভাঙার জন্যই তৃণমূল বিএনপি করছি।”
তৃণমূল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মিডিয়া উইংয়ের প্রধান সালাম মাহমুদ বলেন, “আগ্রহীদেরকে আমরা মনোনয়ন ফরম দিচ্ছি। তবে তার আগে দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করতে হবে।”
কে যাচ্ছেন বিএনএমে?
দলটির আত্মপ্রকাশ ২০২১ সালে, তখন আহ্বায়ক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান, সদস্য সচিব ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ।
নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যে বিএনপি ছেড়ে এসে সোমবার বিএনপি ছেড়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
নতুন দলের ভোটের যাত্রায় বিএনপির আরো তিন সাবেক এমপিকে সঙ্গে পেয়েছেন জাফর। তারা হলেন- ঝিনাইদহ-১ আসনের আব্দুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের দেওয়ান শামসুল আবেদীন এবং বরগুনা-২ আসনের আবদুর রহমান।
বিএনএমের স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ বলছেন, তিনশ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যারা অন্য দলের বা কোনো দলের না, এমন অনেকে আমাদের সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার জন্য যোগাযোগ করছে। আমরা বলেছি, তারা চাইলে আমাদের এখান থেকে প্রার্থী হতে পারবে। তবে আমাদের যে প্রাথমিক সদস্য ফরম আছে, সেটা আগে পূরণ করতে হবে।”
নিজে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার চিন্তাভাবনা করলেও এখনও নিশ্চিত না হওয়ার কথাই জানান হানিফ।
এর কারণ জানতে চাইলে, তিনি বলেন, “মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন করতে পারব কি-না। আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, তাদের ভালো প্রার্থী থাকলে আমরা ঠিকভাবে ভোটে অংশ নিতে পারব কি-না, ভোট কেমন হয়, মাঠ সমান কি-না, এসব বিষয় সামনে চলে আসে।“
বিএনপি থেকে নতুন করে কেউ যোগদান করছেন কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিএনপি থেকে চারজন সাবেক সংসদ সদস্য যোগ দিয়েছেন। নতুন কেউ যোগ দেবেন কি-না, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না।”
মহাসচিব মো. শাহ্জাহান চমকের নামটা নিজে ঘোষণা করতে চান না। তিনি বলেছেন, “ঘোষণা নিয়ে তিনি নিজেই আপনাদের সামনে হাজির হবেন।”
‘ভালো খেলা’র ঘোষণায় বিএসপি
মনোনয়ন ফরম দেওয়ার সময় শুক্রবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএসপি। দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, “আমরা অনেক সাড়া পাচ্ছি। অবরোধ-হরতালের কারণে চলাচলে অসুবিধার কারণে সময় বাড়াতে হয়েছে।”
নির্বাচনে ‘ভালো খেলা’ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ভালো খেলার জন্য ভালো প্লেয়ার লাগবে। মেসির বিপরীতে যদি রোনালদো থাকে, তাহলেই তো খেলা ভালো হবে, না হয় খেলা ভালো হবে কীভাবে?”
তবে এসব ‘ভালো খেলোয়াড়’ কারা হবেন তা খোলাসা করেননি তিনি। জানিয়েছেন, মনোনয়ন ফরম নেওয়া নেতাদের মধ্যে নবাগতরাও রয়েছেন।
তিনি বলেন, “চূড়ান্তভাবে বিএসপি থেকে ২২০ জন এবং বাকিরা লিবারেল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সভূক্ত দল থেকে প্রার্থী হবেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়েও অনেক জায়গায় আমরা জয়ী হব।”
‘কিংস পার্টি’?
বিএনপির পক্ষ থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দলগুলোকে ‘কিংস পার্টি’, ‘ভুঁইফোঁড়’ ইত্যাদি নানা বিশেষণ দিয়েছেন। বলেছেন, “জনগণ ও বিশ্ববিবেক অন্ধ নয়। আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, এসব কিংস পার্টি করে একতরফা নির্বাচনকে বৈধ্যতা দেওয়া যাবে না।”
২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে হঠাৎ করে গড়ে ওঠা দলগুলোকে ‘কিংস’ পার্টি’ নামে ডাকা হত।
ওই সময় ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর নেতৃত্বে গঠিত প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং বেসরকারি সংস্থা প্রশিকার প্রধান কাজী ফারুক আহমেদের ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ইসির নিবন্ধন পায়।
সে সময় অভিযোগ ওঠে, প্রধান দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে নতুন একটি 'শক্তি' প্রতিষ্ঠা করতেই সেনাসমর্থিত সরকারের ইঙ্গিতে নতুন নতুন দল গঠিত হচ্ছে। এ ধরনের দলকে তখন চিহ্নিত করা হয় 'কিং’স পার্টি' হিসেবে।
নবম সংসদ নির্বাচনে পিডিপি ২১ আসনে প্রার্থী দিয়ে ভোট পেয়েছিল ১৪ হাজার ২২৮ টি। সে সময় পিডিপির ১ একজন প্রার্থী বাঘ প্রতীকে ও ২০ জন কুলা প্রতীকে (বিকল্পধারার সঙ্গে জোট হয়ে) ভোট করেছিল।
ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন চাবি প্রতীকে ১১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোট পায় ৩ হাজার ৫৪২ টি। কল্যাণ পার্টি হাতঘড়ি প্রতীকে ৩৯ জন প্রার্থী দিয়ে ২১ হাজার ৬০৯ ভোট পায়।
পিডিপি নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাঘ প্রতীকে দলটি অংশ নেয়। কিন্তু ২০২০ সালে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন বাতিল হয় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের।
কল্যাণ পার্টি নবম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির মতো দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে।
নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি, দশম সংসদ নির্বাচনে ১২ টি ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩৯টি দল ভোটে অংশ নেয়। এখন ইসিতে ৪৪টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। এরমধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কতটি দল অংশ নিচ্ছে তা চূড়ান্ত হবে ৩০ নভেম্বর।
এর মধ্যে বিএনপিসহ ১৮টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথাই জানিয়েছে। সেখানে রেখেছে গণতান্ত্রিক জোটভূক্ত এবং ইসলামী ধারার কয়েকটি দল।
দল বাড়লেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে?
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিকে বাইরে রেখে ছোট দলগুলো অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনকে অন্তর্ভূক্তিমূলক বলা যাবে বলে মনে করছেন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অনেক দল অংশ নেওয়ার পরও বিএনপি ভোটে না থাকলে সেটাকে পুরোপুরি ইনক্লসিভ নির্বাচন বলা যাবে না। তিন-চারটি দলের বাইরে ভোট পাওয়ার হার বিবেচনায় অন্য ছোটদলগুলো ভোটে থাকলেও তা ম্যাটার করে না।”
“ভোট সামনে রেখে নতুন গড়ে ওঠা দলগুলোর বিষয়ে তিনি জানান, অনেক দল তৈরি হতে পারে, অনেক দল আসতে পারে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রার্থী সমাগমও হতে পারে। কিন্তু তাদেরকে ‘মেইন স্ট্রিম’ দলের সঙ্গে তুলনা করা সমীচীন হবে না।”
সার্বিক বিবেচনায় এখনও অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে কথা বলার সময় আসেনি বলে মন্তব্য করে এই পর্যবেক্ষক বলেন, “প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় পযন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর বলা যাবে, কেমন হচ্ছে এ নির্বাচন।”
কাদেরের বক্তব্যে কী ইঙ্গিত?
কল্যাণ পার্টিসহ তিন দলের ভোটে আসা ঘোষণার মধ্যে বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “যারা মনে করেছিল কে আসে কে না আসে... ফুল কিন্তু ফুটতে শুরু করেছে। আরও অনেক ফুল ফুটবে। মনোনয়ন ফরম নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া পর্যন্ত শত ফুল ফুটবে। কাজেই এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। উই আর হ্যাপি।”
সামনের কয়েক দিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “৩০ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এর মধ্যে কত ফুল ফুটবে। আর শীতকাল তো এসে গেছে, কিছু কিছু ফুল ফোটার সময়ও এসে গেছে। এখন কোন ফুল কোথায় ফুটছে...হঠাৎ জেগে উঠবে, অপেক্ষা করুন।”
আরও পড়ুন