গত পূজার ঘটনায় ‘লজ্জিত’ কাদের জানালেন, এবার দলও সতর্ক

তার ভাষায়, যারা হিন্দুদের বাড়িঘর, জমিজমা দখল করতে চায়, তারাই এ সহিংসতা চালিয়েছে।

রমনা কালীমন্দিরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

গতবছর দুর্গাপূজা সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নিয়ে ‘দারুণ লজ্জিত’ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগও ‘সতর্ক’ আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “এত শান্তিপূর্ণ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। কিন্ত গতবছরের ঘটনা নিদারুণভাবে লজ্জা দিয়েছে। সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। সরকারি সংস্থার পাশাপাশি পার্টিও সতর্ক আছে।"

রোববার দুপুরে রমনা কালীমন্দিরে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন কাদের।

শনিবার ষষ্ঠী পূজায় শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। বুধবার দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের উৎসবের।

গতবছর কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর পাড় পূজা মণ্ডপের ঘটনা মাথায় রেখে এবারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা সরকার বলে আসছে প্রথম থেকেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার ১৩ বছরে পড়েছে। শুধুমাত্র একটি দুর্গাপূজা দুর্বৃত্তদের দ্বারা টার্গেট হয়েছে। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। নোয়াখালীর চৌমুহনী, কুমিল্লা শহরে, রংপুরের ঘটনা। চৌমুহনীতে বিভৎস ভূমিকায়। হিন্দু ভাইবোনদের অনেকে মারাও গেছে।“

তার ভাষায়, যারা হিন্দুদের বাড়িঘর, জমিজমা দখল করতে চায়, তারাই সেই লক্ষ্য নিয়ে এই সহিংসতা চালিয়েছে।

সকল দলকে দুর্গাপূজায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, “আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ উৎসব হিসেবে পালিত হয়েছে। এই কয়টা দিন সকলে মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করব। এটা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সব দলের কর্তব্য। শুধু রাজনীতি করলে হবে না। আমরা ঈদ উৎসব করি, হিন্দুদের জন্যে এটাই ঈদ উৎসবের মত।“

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা, রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক পলাশ হাজরা, সদস্য সচিব উৎপল বিশ্বাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।