বিবৃতিতে তারা বলেছেন, রাজনীতিতে ‘সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে’ মির্জা ফখরুলের মুক্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখতে পারে।
Published : 03 Nov 2023, 03:14 PM
কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৬৭ নাগরিক।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, রাজনীতিতে ‘সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে’ মির্জা ফখরুলের মুক্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ রাখতে পারে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন। হামলা করা হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে। একজন পুলিশ সদস্য এবং যুবদলের এক কর্মী নিহত হন।
পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
৬৭ নাগরিকের বিবৃতিতে বলা হয়, “একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতি আজ উন্মুখ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ বিষয়ে তার অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটি করার দাবি জোরালো হচ্ছে। ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলা হয়েছে।”
বিবৃতিদাতারা বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে শান্তিপূর্ণ পথে পরিচালিত হয়, তার জন্য মির্জা ফখরুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বজনবিদিত। রাজনীতিতে সংঘাত পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমরা মনে করি।”
অবিলম্বে মির্জা ফখরুলকে মুক্তি দিয়ে সরকার একটি ‘শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ সুগম করবে’ বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে বদরুদ্দীন ওমর, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্ অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অধ্যাপক এ টি এম নুরুল আমিন, অধ্যাপক সদরুল আমীন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি ইসলাম,অধ্যাপক চৌধুরী আবরার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ব্যাংকার নাসের বখতিয়ার, সাবেক কুটনীতিক সিরাজুল ইসলাম, ইউনির্ভাসিটি টিচার্স অ্যাসোসিশসনের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান রয়েছেন।