“একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না”, দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
Published : 31 Jan 2024, 07:39 PM
টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা ‘পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার দুপুরে ‘১৯৯৪ সালে লালবাগ ৭ হত্যাকাণ্ড’ স্মরণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা, মিলাদ ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুর্নীতি সূচকে দেশের অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারকে পুরো পৃথিবী অভিনন্দন জানিয়েছে। পৃথিবীর সব রাষ্ট্র ও সরকার নতুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। এটাকে খাটো করার জন্য কিছু একটা বলতে হবে সেজন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকে না কি দুই ধাপ নেমে গেছে বাংলাদেশ।
“এখন টিআইবির অভ্যন্তরে কোনো দুর্নীতি আছে কি না সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা দরকার। এভাবে একপেশে রিপোর্ট দিয়ে সরকারকে খাটো করা যাবে না।”
বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান অন্যদের ‘ক্রীড়ানক’ হিসেবে কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা যেখান থেকে ফান্ড পায়, যেভাবে প্রেসক্রিপশন দেয় সেভাবেই কাজ করে। তবে এ ধরনের সংগঠন থাকুক আমরা চাই।
“আমরা মনে করি সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলো সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরতে পারে, সেজন্য এ ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা ভালো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠান যখন ‘একচোখা’ হয়ে যায়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলে; রিজভী আহমেদের কথা আর টিআইবির বক্তব্য যখন মিলে যায় তখন বোঝা যায়, ‘ডাল মে কুচ কালা হায়’।”
কী হয়েছিল ১৯৯৪ সালে
১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটের পরের দিন লালবাগে পরাজিত কমিশনার পদপ্রার্থী বিএনপির নেতা আবদুল আজিজ তাঁর কর্মিবাহিনী নিয়ে বিজয়ী কমিশনারের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।
এ সময় বিজয়ী কমিশনার হুমায়ুন কবিরের সমর্থকেরা বিজয় মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রতিপক্ষের হামলায় লালবাগ এলাকার দেলোয়ার, গাজী, নজরুল, আনোয়ার, হাফিজ, আজিজ ও শাহ আলম নিহত হন।
বিচারিক আদালত দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, নয়জনকে যাবজ্জীবন ও এক আসামিকে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করলে ২০১৪ সালের ২৪ জুলাই হাই কোর্ট সে সাজা বহাল রাখে।
হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যের শুরুতে ৩০ বছর আগের হত্যার শিকার ৭ জনের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, “১৯৯৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। এটি তারা মেনে নিতে পারে নাই।
“নির্বাচনের পরের দিন এই হতাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এরপরেও অবদমিত হয়নি বরং এই খুনি চক্রকে রুখে দাঁড়িয়েছিল। সেই বিজয়ের যাত্রাপথ বেয়ে ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসও বক্তব্য দেন।