ওবায়দুল কাদের বলেন, কোন আমলে কত মানুষ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তারা খুন করেছে, হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে এরও হিসাব দিতে হবে।
Published : 13 Feb 2024, 07:45 PM
বিএনপির কোন কোন নেতাকর্মী কারাগারে মারা গেছেন তাদের নামসহ তালিকা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তারা (বিএনপি) বলুক, তালিকা দিক কারা কারা মারা গেছে এবং তারা কোথায় কোথায় বিএনপির কি দায়িত্বে ছিল।”
কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে কয়েকদিন ধরে দাবি করে আসছে বিএনপি।
ঢাকা, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে গত ৬ মাসে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে একটি রিট আবেদনও করা হয়েছে।
বিএনপির এমন দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি যে ১৩ জনের কথা বলে, তাদেরকে জেলখানায় মেরে ফেলা হয়েছে। জেলখানায় যারা বন্দী আছে তারাও মানুষ, তাদেরও মৃত্যু হতে পারে এবং এ রকম মৃত্যুর খবর প্রায়শই আমরা জানি। এই সংখ্যাটা ১৪-১৫, সে রকম বেরিয়েছে।
“এখন জেলে যে বন্দি অবস্থায় আছে তার কি মৃত্যু হবে না? এখন এই যে জেলে বন্দি অবস্থায় এ লোকগুলো বিএনপির, এমন দাবি তারা কিভাবে করে? তাহলে তারা বলুক, তালিকা দিক কারা কারা মারা গেছে এবং তারা কোথায় কোথায় বিএনপির কি দায়িত্বে ছিল?”
কারাগারে ১৩ বিএনপিকর্মীর মৃত্যু: তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন
বিএনপি ‘গুম-খুনের’ জন্য আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি করবে- সাংবাদিকরা এমন কথা বললে সেতুমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ আমলে এবং বিএনপি আমলে কত হত্যা, কত গুম হয়েছে, সেটারও হিসাব হোক। সব হিসাবই আসুক। কোন আমলে কত মানুষ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তারা খুন করেছে, হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে এরও হিসাব দিতে হবে। হিসাব একপক্ষের কেন?”
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপি নেতা মঈন খানের সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, “মঈন খান রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করেছেন, এটা করতেই পারেন। সেখানে ষড়যন্ত্র আভাস খোঁজার কিছু নেই। সব ব্যাপারে ষড়যন্ত্র দেখার কিছু নেই।”
সংসদের সংরক্ষিত আসনে ১৪ দলের শরিকরা মনোনয়ন পাবেন কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, “গণভবনে আগামীকাল আমাদের মনোনয়ন বোর্ডের সভা আছে। ১৪ দলের ব্যাপারে আমাদের নেত্রী অন্যভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন। তবে নিয়মানুযায়ী তাদের পাবার সুযোগ নেই। বাকিটা আগামীকালের সিদ্ধান্তে জানা যাবে।”
মিয়ানমারে যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে অনেকেই অস্ত্র নিয়ে ঢুকছে- এমন বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন। সেরকম কিছু হলে আমাদের প্রচলিত ব্যবস্থা অনুযায়ী.. বিদেশি কারো অনুপ্রবেশ ঘটে তাহলে সেটা খতিয়ে দেখা হবে এবং অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।