নিপুণ রায়ের আগাম জামিন

আগাম জামিনের শুনানির জন্য হাসপাতাল থেকে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে আদালতে যান বিএনপির এই নেত্রী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2023, 08:43 AM
Updated : 29 May 2023, 08:43 AM

ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও নেতা-কর্মীদের মারধরের মামলায় হাই কোর্ট থেকে তিন মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।

তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

এই আগাম জামিনের মেয়ার শেষে নিপুন রায়কে ঢাকার জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিন চাইতে হবে।

নিপুণের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বদরোজ্জা বাদল, তার সঙ্গে ছিলেন নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আগাম জামিনের শুনানির জন্য হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি আদালতে আসেন। পর এজলাস কক্ষে যান হুইলচেয়ারে করে, তখন তার মাথায় ছিল ব্যান্ডেজ।

জামিন শুনানি শেষ নিপুণ আবারও হাসপাতালে ফিরে গেছেন বলে আদালত পাড়ায় সাংবাদিকদের জানান তার বাবা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।

Also Read: কেরাণীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ, নিপুণ রায় আহত

বিএনপির দশ দফা দাবি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শুক্রবার জিনজিরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে ঢাকা জেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

কর্মসূচি চলার এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সে সময় ইটের আঘাতে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়ের মাথা ফেটে যায়।

পরদিন নিপুণ রায়সহ বিএনপির ১০৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন জিনজিরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এসএম সুমন। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা ওই মামলার আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, সমাবেশ শুরু হওয়ার পর বিএনপি নেতারা ‘উত্তেজনামূলক’ বক্তব্য দেন। নিপুণ রায় ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিলে নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী বিভিন্ন ‘কটূক্তিমূলক স্লোগান’ দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ‘নিপুণ রায়ের হুকুমে’ নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজহার বাঙালিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মারধর করে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।