মোরসালিন তাদের বিয়ের দেনমোহরের ৮ লাখ টাকার মধ্যে ৬ লাখ টাকা নগদ পরিশোধ এবং দুই লাখ টাকার চেক দিয়েছেন।
Published : 23 Apr 2025, 04:42 PM
অবশেষে স্ত্রী সেঁজুতি বিনতে সোহেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় শেখ মোরসালিনের।
মোরসালিনের বিরুদ্ধে করা যৌতুকের মামলা প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন সেঁজুতি।
আপোস হয়েছে জানিয়ে বুধবার সেঁজুতি ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহর আদালতে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, “মোরসালিন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নক্ষত্র। দুই পক্ষের অনুরোধে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়। তারই ফলশ্রুতিতে আজ আদালতে উভয়পক্ষ হাজির হয়, আপসনামা দাখিল করে।
“আদালত তার স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করে মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।”
মোরসালিন তাদের বিয়ের দেনমোহরের ৮ লাখ টাকার মধ্যে ৬ লাখ টাকা বুধবার নগদ পরিশোধ করেন।
আর দুই লাখ টাকার চেক দিয়েছেন, যা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নগদায়ন করবেন মর্মে আপসনামায় অঙ্গীকার করেছেন।
যৌতুক দাবির অভিযোগে সেঁজুতি গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোরসালিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর শেখ মোরসালিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই গাড়ি কেনার জন্য ২০ লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন মোরসালিন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামি যৌতুক দাবি করে বারবার তাকে মানসিক চাপ দেন এবং বলেন বাবার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা তার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
সেঁজুতির অভিযোগ, বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও মোরসালিন উল্টো তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। পরে তিনি বাবা-মায়ের বাসায় চলে যান।
২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত ১০টায় মোরসালিন ওই বাসায় যান উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়েছে, এসময় সেঁজুতি রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলে মোরসালিন বলেন, ‘আমি খাবার খেতে আসিনি। ২০ লাখ টাকা নেওয়ার জন্য এসেছি’।
সেঁজুতির বাবা-মা ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মত সামর্থ নেই জানালে মোরসালিন স্ত্রী সেঁজুতি ও তার বাবা-মাকে গালাগাল ও হুমকি দিতে থাকেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।