বিএনপি ও সমমনাদের এ আন্দোলন ‘শান্তিপূর্ণ ও সফল’ বলে দাবি করেছেন রিজভী।
Published : 19 Dec 2023, 11:47 AM
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে সরকার ‘নিজেরা নাশকতা করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার হরতালের সকালে জনা বিশেক নেতা-কর্মী নিয়ে রাজধানীর শান্তিনগর মোড় থেকে রাজারবাগ সড়কের দিকে ‘ঝটিকা’ মিছিলে দেখা মেলে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবকে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী তাদের এ আন্দোলনকে ‘শান্তিপূর্ণ ও সফল’ বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, “বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো এক দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছে। নেতা-কর্মীরা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে কর্মসূচিকে সাফল্যমণ্ডিত করছে।
“কিন্তু সরকার এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রুখতে শুধুমাত্র দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার-হামলা-মামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। এখন তারা নিজেরা বাসে আগুন নিয়ে নাশকতা করছে। নাশকতা করে দেশে ত্রাস করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ফেরাতে এটি তাদের কূটকৌশল।”
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচন এবং তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি এবার চতুর্থ দফা হরতাল করছে। গত ২৯ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো তিন দফায় চার দিন হরতাল এবং এগারো দফায় ২৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি করেছে।
এদিন হরতাল শুরুর আগেই ভোরে ঢাকায় ঢোকার পথে অগ্নি নাশকতার শিকার হয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। ভোর ৫টার দিকে তেজগাঁও স্টেশনে এ ঘটনায় পুড়ে গেছে ট্রেনটির তিনটি বগি। একটি বগি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক মা, তার শিশু সন্তানসহ চারজনের লাশ। এছাড়া দফায় অবরোধ-হরতালে সারা দেশে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, “তাদের (সরকার) উদ্দেশ্য ত্রাস সৃষ্টি করে একতরফা সাজানো ‘আমরা ও মামুদের’ নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া। সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য ’১৪ ও ’১৮ সালের মত আবার নির্বাচন করছে। এবারের তারা আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে। জনগণ এই আসন ভাগাভাগির নির্বাচন মানে না।”
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুব দলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপন, নিলুফার ইয়াসমীন নিলুসহ আরো কয়েকজন মিছিলে ছিলেন।
মিছিল শেষে রিজভী বরাবরের মত আত্মগোপনে চলে যান। তিনি চলে যাওয়ার পর নেতা-কর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন।
রিজভীর মিছিল ছাড়াও সকালে কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেঁস্তোরা থেকে শান্তিনগর মোড়ের দিকে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেন।