গত ৫ নভেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর একটি বাসা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
Published : 25 Feb 2024, 09:30 PM
তিন মাস ২৩ দিন বন্দি থাকার পর জামিন মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
রোববার রাতে সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
মুক্তির পর পটুয়াখালী নিজের নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে। পরে একটি গাড়িতে করে তিনি বারিধারায় নিজের বাসার উদ্দেশে রওনা হন।
আলতাফ হোসেন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “গণতন্ত্র ‘ফিরিয়ে আনার’ জন্য আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে, আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রবর্তন ও নির্বাচন প্রতিহত করার ডাকে বিএনপির হরতাল-অবরোধ চলার মধ্যে গত ৫ নভেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর একটি বাসা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
কেরানীগঞ্জের ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বন্দি থাকা অবস্থায় অসুস্থ হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ চারটি মামলায় আলতাফকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
তার গ্রেপ্তারের আগে পরে আটক হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাসসহ শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা।
যারা গ্রেপ্তার হন, যাদের একজন ছিলেন শাহজাহান ওমর, যিনি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। হঠাৎ জামিন পেয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে ঝালকাঠির একটি আসন থেকে ভোটে জিতে আসেন তিনি।
ভোটের পর নতুন সরকার গঠন হলে বিভিন্ন মামলায় জামিন পেতে থাকেন বিএনপির নেতারা। তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন পেতে দেরি হয় তাদের।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্ত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্ত হন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আলতাফ হোসেন চৌধুরী ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন। অবসরে যাওয়ার পর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ২০০১ সালে পটুয়াখালী-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
পরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। তবে এক শিশুর মৃত্যুর পর মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আর সংসদে ফিরতে পারেননি তিনি।