“আমাদের পিছনে হটার সময় নেই। সামনে আমরা গুলি খেতে পারি, আপনার পতন রোধ করার শক্তি বাংলাদেশে নাই, বিদেশেও নাই,” বলছেন বিএনপির এই নেতা।
Published : 21 Dec 2022, 04:56 PM
দেশে ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ’ ফেরাতে সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “বিদেশিদের তকমা দিয়েছেন জঙ্গিবাদের আর মৌলবাদের। বিদেশিদের চোখ পরিষ্কার হয়ে গেছে। এগুলো শুধু নাটক আর নাটক। আজকে এসব তকমা চলে না, চলে না।
“একটা তকমা চলে, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জাতিকে সহযোগিতা করুন। বিএনপি বলে নাই যে আপনি নামেন, আমি ক্ষমতায় যাব।”
দলের ১০ দফা দাবির প্রসঙ্গ টেনে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আমাদের ১০ দফা-বহু কথা। আপনি মেনে নিয়ে… আপনাকে আমরা পতন ঘটাতে চাই, তার আগে আপনি যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ পুনরুজ্জীবিত করেন, তাহলে আমাদের পতনের আন্দোলন করার দরকার নাই।
“আর যদি না করেন, তখন আমাদের পিঠ দেয়ালেই ঠেকা। আমাদের পিছনে হটার সময় নেই। সামনে আমরা গুলি খেতে পারি, আপনার পতন রোধ করার শক্তি বাংলাদেশে নাই, বিদেশেও নাই।”
সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, “আমরা বলতে চাই, জনগণের দাবির কাছে যদি আপনি নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করেন, গণতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টি করেন, অবশ্যই বিএনপি একটি সহনশীল দল, খালেদা জিয়া একজন অত্যন্ত মহানুভব, তিনি ক্ষমা জানেন, তিনি মানুষের ওপর অত্যাচার করবেন না এবং জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ক্ষমাশীল ব্যক্তি।
“সুতরাং সেই দলের নেতাকর্মীরা অবশ্যই আপনাদের নিরাপদ জীবনের জন্য ভবিষ্যতে সহযোগিতা করবে শুধুমাত্র গণতন্ত্রের বন্ধ দুয়ার খোলার জন্য। রক্তপাত ঘটাবেন না, কথায় কথায় গুলি করবেন না। পুলিশকে জনগনের শত্রু বানাবেন না।”
তিনি বলেন, “আজকে স্যাংশনের কথা বলছেন। বিদেশিরা স্যাংশন আর কত দেবে। জনগণ স্যাংশন দিয়ে বসে আছে। জনগণের স্যাংশন মোকাবিলা করা কঠিন কাজ - এটা কখনো কেউ পারে নাই।
“সেজন্য আবার বলছি, যথেষ্ট হয়েছে। ১৫ বছরে বহু লুট করেছেন। বহু মায়ের বুক খালি করেছেন, অনেক গুম করেছেন। বাকি সময়টা নিরাপদে শান্তিতে আল্লাহতালা যে কদিন হায়াত দিয়েছে ততদিন বেঁচে থাকুন, দোয়া করি। জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেন। স্বেচ্ছায় যদি আপনি পদত্যাগ করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেন জনগণ আপনাকে ক্ষমা করলে করতেও তো পারে। কিন্তু সর্বশেষ পর্যন্ত আপনি যদি আপনার ইগো নিয়ে থাকেন…।”
মানববন্ধন থেকে বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান গয়েশ্বর।
অন্যদের মধ্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মোস্তফা কামাল মজুমদার, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক রফিকুল কবির লাবু, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান চুন্নু, রাশেদুল হক, বিপ্লব-উজ জামান বিপ্লব, মির্জা লিটন, সাখাওয়াত হোসেন, এবিএম রুহুল আমিন, জহিরুল ইসলাম, মাহবুব আলম, আবু জাফর খান মানববন্দনে বক্তব্য দেন।