“মিয়ানমার চীনের লালিত দেশ, সেই দেশ থেকে গুলি আসে, সোলজাররা পালিয়ে আসে; এটা কীসের লক্ষণ,” বলেন এই বিএনপি নেতা।
Published : 06 Feb 2024, 04:21 PM
মিয়ানমারে যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, “আজকে মিয়ানমারের মত দেশ গুলি করে, সেই গুলি আমাদের দেশের সীমান্তে পড়ে। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে, মারা গেছে। এটা কীসের আলামত?
“চীনের সঙ্গে এত বন্ধুত্ব, আর মিয়ানমার চীনের লালিত দেশ। সেই দেশ থেকে গুলি আসে, রাখাইন থেকে সোলজাররা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এটা কীসের লক্ষণ? ভারতের বিএসএফ এই ধরনের ঘটনায় ‘সাতশ লোককে হত্যা করল… একটা প্রতিবাদ করেন না।”
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে গত কয়েকদিন ধরে। বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি ফাঁড়ি দখল করে নিলে রোববার সকালে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্য। এরপর তিন দিনে সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২২৯ জনে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের দিক থেকে আসা গোলায় নারীসহ দুজনের প্রাণ গেছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, “কী কারণে বিজিবি রেখেছেন? কী কারণে বিজিবির জন্য অস্ত্র দেওয়া হয়? আমি বলি, বারবার অপকর্ম করে পার পেয়ে গেলেও সকল অপকের্মর জবাব একদিন আপনাকে (সরকার) দিতে হবে, বারবার দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।”
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন গয়েশ্বর। সেখানে মিয়ানমার প্রসঙ্গ ছাড়াও সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বক্তব্য দেন।
গয়েশ্বর বলেন, “আজকে ওবায়দুল কাদের কী জবাব দেবেন? একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ধর্ষণের সেঞ্চুরি পালিত হয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করেন, অথবা যারা শিক্ষকতা করেন, তাদের মানসম্মান কোথায় থাকবে? একটি নামকরা মহিলা কলেজের ঘটনা কয়েক বছর আগে শুনেছি…। সেই কলেজের মেয়েদেরকে যদি বলা হয়, তুমি কোন কলেজে পড়… সে নাম বলতে লজ্জা পায়।
“এদেরকে (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় রাখলে এদেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে না, এদেশটাও নিরাপদ থাকবে না। মানসম্মান তো দূরের কথা, বেঁচে থাকার সুযোগ থাকবে না।”
শনিবার রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে মানবন্ধন করে বিএনপি সমর্থিক সংগঠন নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
সংগঠনের সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী, বিএনপির সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক এমপি শিরিন সুলতানা, রাশেদা বেগম হীরা, নিলোফার চৌধুরী মনি, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের রুহুল আমিন গাজী, কাদের গণি চৌধুরী, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের তাইফুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আরিফা সুলতানা রুমা ও নাদিয়া পাঠান পাপন মানবন্ধনে ছিলেন।