দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় অভিমুখে গণমিছিল এবং পরদিন দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বিরোধী দলগুলোর চলমান কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে রোববার দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
পুরানা পল্টনের নোয়াখালী টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একতরফা তফসিল ঘোষণা করতে চাইলে তফসিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে। তফসিল ঘোষণার পরের দিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে।”
চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে বিভিন্ন দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০ নভেম্বর সংলাপের কথা জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমীর।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন ক্ষমতা লিপ্সার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে, যা জনগণ আজকে অবলোকন করছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল থেকে কার্যত উগ্রবাদী দলে পরিণত হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন কমিশন’ অখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “কলঙ্কের নিম্নস্তরে পৌঁছে গেছে নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশ অতীতেও বিভিন্ন সময়ে লজ্জা, বিবেক ও মেরুদণ্ডহীন কমিশন দেখেছে…এই কমিশন অতীতের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।”
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলতে চাই, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ কখনোই হবে না। তাদেরকে পদত্যাগ করে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”
সংসদ ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন, বিরোধী নেতাকর্মী ও ওলামায়ে মাশায়েখদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া এবং লেভেল প্লেয়িং তৈরির আগে কোনো অবস্থাতেই তফসিল ঘোষণা করা যাবে না।”
দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল হুদা ফয়েজী, আশরাফ আলী আকনসহ দলটি নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।