এক মামলায় রিমান্ডের এই আদেশ হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার অন্য ২২ জনের রিমান্ড-জামিন দুটোই নাকচ হয়েছে।
Published : 20 Oct 2022, 07:32 PM
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় সংঘাতের পর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগ নেতার করা এক মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকতার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ডের এ আদেশ দেন। গ্রেপ্তার অন্য ২২ আসামিকে তিনি রিমান্ডে দেননি। তবে তাদের জামিন আবেদনও নাকচ করেছেন। ফলে তাদের কারাগারিই থাকতে হচ্ছে।
আসামিদের অন্যতম আইনজীবী মো. পারভেজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
যাদের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর হয়েছে, তারা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব ও সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
ছাত্রলীগের দুই নেতার করা দুটি মামলায় গত ১৩ অক্টোবর দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মুহাম্মদ আরিফুল আলম অপু এবং এসআই গোলাম হোসেন আলাদা আবেদনে প্রত্যেক আসামিকে সাত দিন করে ১৪ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন।
আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করে। তবে ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই গোলাম হোসেন খান অসুস্থ এবং অন্য তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল আলম অপু সাক্ষ্য দিতে চট্টগ্রামের আদালতে থাকায় রিমান্ড শুনানির তারিখ পিছিয়ে ২০ অক্টোবর ঠিক করা হয়।
বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম হোসেন খান আদালতে উপস্থিত হন। অন্য তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুল আলম খান অন্য এক মামলায় সাক্ষ্য দিতে খাগড়াছড়ির আদালতে যাওয়ায় সেদিনও আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ফলে এদিন শুধু ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিনের করা মামলার রিমান্ড শুনানি হয়।
আরেক মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর দিন রেখেছেন বিচারক।
গত ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সভা আয়োজনের সময় ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। আহতদের নিয়ে পরিষদের নেতা-কর্মীরা ঢাকা মেডিকেলে গেলে সেখানেও চড়াও হয় ছাত্রলীগ। সেখানে দুই পক্ষে উত্তেজনার পর ছাত্র পরিষদের ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ এনে সংগঠনটির দুই কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন।