ঊনসত্তরের শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা

মঙ্গলবার রাজধানীর বকশীবাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউশন এবং ড. শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের নেতারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2023, 05:06 AM
Updated : 24 Jan 2023, 05:06 AM

ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার রাজধানীর বকশীবাজারে নবকুমার ইনস্টিটিউশন এবং ড. শহীদুল্লাহ কলেজ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের নেতারা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, "ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, অন্যরা পাঠকমাত্র।

"বিএনপি ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৪ এপ্রিল, ১০ জানুয়ারি, ২৪ জানুয়ারি মানে না, পালন করে না। গণঅভ্যুত্থান নয়, গণআন্দোলনেরও ঢেউ তুলতে পারেনি বিএনপি। তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। তাদের আন্দোলন নেতাদের মধ্যে সীমতি।"

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নেন তারা। শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের কথা স্মরণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, "এদেশে ভাষা আন্দোলন কিংবা গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে। যখন একটি আন্দোলন সর্বস্তরের জনগণকে স্পর্শ করে, তখন সে আন্দোলন সফল হয়। মতিউর একটি অবিনশ্বর চেতনার নাম।"

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতনের দাবিতে তুঙ্গে উঠেছিল আন্দোলন। ১১ দফা দাবিতে ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে আন্দোলনে নামার পর তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিল সাধারণ মানুষ।

২০ জানুয়ারি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে কারফিউ ভেঙে ছাত্ররা মিছিল বের করলে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আসাদুজ্জামান আসাদ। কিশোর মতিউরও ছিলেন সেই মিছিলে।

২৪ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে হরতাল ডাকা হয়। ঢাকার রাজপথ সেদিন মিছিলে মিছিলে উত্তাল। সেদিন মিছিলের ওপর গুলি চালানো হলে নিহত হন মতিউর রহমান মল্লিক।

এ ঘটনার পর আন্দোলন তীব্র হয়, রাজনৈতিক দলগুলোও জোট বাঁধে, আন্দোলনের চাপে আইয়ুব খানের পতন ঘটে; শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিরা মুক্তি পান।

মুক্তির পর পল্টনে জনসভায় ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু উপাধি পান শেখ মুজিব, এরপর তার নেতৃত্বে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

শহীদ মতিউর রহমান মল্লিককে ২০১৮ সালে সরকার মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।