“আমরা আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলেছি, সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মত নির্বাচন করবে।”
Published : 24 Jan 2024, 11:23 AM
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, উপজেলাসহ স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত তারা ‘হঠাৎ’ নেননি, আর বাংলাদেশে এটা নতুন কিছুও নয়।
তিনি বলেছেন, "প্রতীকবিহীন নির্বাচন করার বিষয়টি আমাদের মধ্যে বহু আগে থেকে আলোচনা ছিল। এটি আজকে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে এটি আলোচনা মধ্যে ছিল। সর্বশেষ গত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে এটি সিদ্ধান্ত হয়।"
গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বুধবার বকশিবাজারের নবকুমার ইনস্টিটিউটে শহীদ মতিউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের জরুরি কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সামনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের যেসব ভোট হতে যাচ্ছে, তাতে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন প্রণয়নের পর থেকে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। এ সময়ের পরের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগও নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছে।
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশি ভোটকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ দেখাতে দলের নেতাকর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেয়।
এবার স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া করার সিদ্ধান্তের পেছনেও ‘সবাইকে ভোটে আনার’ লক্ষ্যের কথা বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
দলীয় সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “ আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি, এরপর যখন উপজেলা নির্বাচন হয়, তখন কিন্তু প্রতীক ছিল না। প্রতীক দেওয়ার বিধান পরবর্তীতে চালু হয়।
“স্থানীয় সরকার নির্বাচন বরাবরই প্রতীকবিহীন হয়েছে। আমরা আগের সেই পদ্ধতির কথাই বলেছি। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে এবং যে যার মত নির্বাচন করবে। যারা বিজয়ী হবেন তারা উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন। একটা নতুন কিছু না।”
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত বিএনপির জন্য আত্মহত্যার শামিল বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান।
তিনি বলেন, “গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তারা উপলব্ধি করছে, তাদের চরম ভুল হয়েছে। তাদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। আজকের সমস্ত পৃথিবী নতুনভাবে নির্বাচিত হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, আবোলতাবোল বকতেছে।”
ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "বহু শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতা কারো হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে আসেনি। বহু সংগ্রাম, বহু রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। আমাদের এই স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে মতিউর রহমানের আত্মদান রয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল চ্যার্টার্জি, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।