‘‘এখানে কিন্তু রাজনীতি নিয়ে আমরা আলোচনা করি না। আমাদের নেত্রীও করেন না। আজকেও তাই হয়েছে,” বলেন খন্দকার মোশাররফ।
Published : 18 Jun 2024, 12:03 AM
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের নেতারা।
সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্য তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে দলের জ্যেষ্ঠ ৯ নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
গুলশানে খালেদার বাসা ‘ফিরোজা’য় রাত সাড়ে ৮টার দিকে যান স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান। রাত সাড়ে ৯টার পর তারা বেরিয়ে আসেন।
পরে গেইটের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রতিবারের মত এবারও তারা ঈদের দিন দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঈদের সময় ঠাকুরগাঁওয়ে থাকায় তিনি ছিলেন না।
মোশাররফ বলেন, ‘‘এখানে কিন্তু রাজনীতি নিয়ে আমরা আলোচনা করি না। আমাদের নেত্রীও করেন না। আজকেও তাই হয়েছে।
‘‘ দেশের মানুষের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, দৈন্যতা, আজকে যে খারাপ অবস্থা… আজকে যে ঈদ সকলে সেইভাবে আনন্দের সাথে করতে পারেনি এ ব্যাপারে আমরা কষ্টে আছি, সকলে এই ব্যাপারে দূঃখিত। আমাদের নেত্রীও দু:খ প্রকাশ করেছেন। দেশের মানুষজনকে এবং দলের নেতা-কর্মীকে দেশনেত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”
স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের পরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু ও শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুজা উদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এর আগে রোববার ঈদের আগের দিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন। তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় থাকছেন চিকিতসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন খালেদা জিয়া, যেখানে দলের নেতাকর্মীসহ অন্যরা তার সাক্ষাৎ পান না। কেবল দুই ঈদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে আসছেন।