Published : 01 May 2025, 04:42 PM
শ্রমিক ও মালিকের সম্পর্ক ‘শ্রদ্ধা ও মর্যাদাপূর্ণ’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
তার ভাষ্যে, “মিল কারখানার শ্রমিক বাঁচতে পারলে মালিকরা বেঁচে থাকতে পারবেন। তাদের মধ্যে সম্পর্ক হবে শ্রদ্ধা ও মর্যাদার।
“শ্রমিকদের ঘামের মর্যাদা আমার কাছে আতরের মত। আমি কোথাও গেলে তাদের সঙ্গে বুকে বুক মিলাই।”
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকার পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “দল ও ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ হিসেবে শ্রমিকদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে চাই; সেই রাষ্ট্র ইনশাআল্লাহ আমরা কায়েম করব, তাদের মর্যাদাও কায়েম করব। তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।”
মালিক-শ্রমিকের সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেক সময় মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব আমরা চাই না। শ্রমিক বাঁচলে ব্যবসা বাঁচবে। শ্রমিক যদি না বাঁচে, আপনাদের ব্যবসা বাঁচবে না।
“আবার শ্রমিকরাও বুঝবেন, মালিক-শিল্পপতি যারা আছেন, তারা যদি বাঁচে- তাহলে আমরাও বাঁচব। কারণ কর্মস্থল যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে দাবিটা করব কার কাছে। এজন্য উভয়পক্ষের দায়দায়িত্ব আছে।”
জামায়াত সরকার গঠন করলে নারীরা চাকরি করতে পারবে না বলে কিছু মহল অপপ্রচারে লিপ্ত মন্তব্য করে শফিকুর বলেন, “আমরা নিশ্চিয়তা দিচ্ছি- এরকম কিছুই হবে না। নারীরা তাদের যোগ্যতা এবং পছন্দ অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। নারী, পুরুষ নিজ নিজ ক্ষেত্রে মর্যাদা নিয়ে কাজ করতে পারবে।
“এখন তাদের কোনো সম্মান নেই, মর্যাদা নেই এবং তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। এখন নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই চাকরি ক্ষেত্রে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে আমরা নিরাপত্তা ও মর্যাদা দেব।”
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমাদের বোঝানো হয়- শ্রেণি সংগ্রামের দ্বন্দ্ব হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাস। আমরা বলতে চাই- এটা না, সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্বের ইতিহাস হচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাস।
“মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্ব নয়, সৎ মালিক ও সৎ শ্রমিকের মিলিত প্রচেষ্টায় উৎপাদন ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে একদিকে শ্রমিকের অধিকার; অপরদিকে অর্থনীতিতে সামনে নেওয়ার ধারাকে সৃষ্টি করেছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন।”
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল।