তার প্রত্যাশিত প্রতীক হচ্ছে নৌকা অথবা ইলিশ।
Published : 25 Mar 2025, 05:21 PM
‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন একটি দল গঠন করে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন আবেদন করেছেন উজ্জল রায় নামের এক ব্যক্তি।
আবেদন অনুযায়ী, সোমবার দলটি গঠন করে ওইদিনই তিনি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন। আর প্রতীক হিসেবে চেয়েছেন নৌকা অথবা ইলিশ। দলের কার্যালয় দেখানো হয়েছে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।
গত ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীকও নৌকা।
নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী উজ্জল রায় নিজেকে ‘আওয়ামী লিগ’র সভাপতি পরিচয় দিয়েছেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ছেলে উজ্জলের বাবার নাম নরেশ চন্দ্র রায়, মাতার পারুল রায়।
উজ্জলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৫ আসনে আমি ভোট করতে চাই। সম্মেলনের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চেয়েছি। তখন দেখা করতে পারিনি।
“আমি ওই আসনে নির্বাচন করতে চাই। আমার দলে এখন পর্যন্ত আমিই একজন। আওয়ামী লিগ নামে নিবন্ধন আবেদন করেছি।”
নিবন্ধন আবেদনের ৭ (ক) ঘরে- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও সেখানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে।
ফিজারের দিনাজপুর-৫ আসনে নির্বাচন করতে চান জানিয়ে উজ্জল বলেন, “এখানে নির্বাচন করতে আমি ইসিতে আবেদন করেছি। সারাদেশে কমিটি করতে গেলে যে টাকা দরকার- তা আমার নেই। এজন্য আমিই একাই কাজ করব।”
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য যে আইন ও বিধি আছে, তা পর্যবেক্ষণ করে সমস্ত শর্ত যদি পূরণ করে- তাহলে তাকে নিবন্ধন দিয়ে থাকি। শর্ত যদি পূরণ করতে না পারে, তাহলে আমরা তাকে গ্রহণ করতে পারব না।”
নতুন দলের নিবন্ধন আবেদনের জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় রয়েছে বলে জানান তিনি।
দলে নিজেদের নাম দেখতে চান রওশনপন্থিরা
এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে বেগম রওশন এরশাদ ও মহাসচিব হিসেবে কাজী মো. মামুনুর রশিদের নাম নথিবদ্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে ১২ নম্বর দল হিসেবে নথিবদ্ধ জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক।
গত বছর দলটির অন্তর্কোন্দলে সম্মেলন করে আলাদা কমিটি ঘোষণা করেছিল রওশনপন্থিরা। পরে স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করলেও তা নাকচ করে নির্বাচন কমিশন।
কাজী মামুন তার আবেদনে লিখেছেন, “২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেয়া নিয়ে জাতীয় পার্টির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।...এই সব প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টি যখন বিলুপ্ত প্রায়- তখন পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পার্টির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বেগম রওশন এরশাদ- জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা আহ্বান করেন।
“২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পার্টির বর্ধিত সভায় সর্বসম্মতভাবে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে তাদের পদ থেকে সাংগঠনিক নিয়মে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
পরে কাউন্সিল করে বেগম রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান, কাজী ফিরোজ রশীদকে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান এবং কাজী মো. মামুনুর রশীদ মহাসচিব নির্বাচিত হন বলে আবেদনে বলা হয়েছে।
এ আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, “আইনগতভাবে এ আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে- কতটা গ্রহণযোগ্য নাকি গ্রহণযোগ্য নয়।”
এনসিপির নাম নিয়ে আপত্তি বিসিপি’র
জাতীয় নাগরিক পার্টির সংক্ষিপ্তরূপ এনসিপি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি (বিসিপি)।
বিসিপি মহাসচিব শাহরিয়ার খান আবির খান তার আবেদনে বলেছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি' নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকা, সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি'র সংক্ষিপ্ত নাম নিয়ে বহু আলোচনা চলছে।
“সদ্য প্রতিষ্ঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র সংক্ষিপ্ত নাম হওয়া উচিত ‘জেএনপি’; কিন্তু দেওয়া হয়েছে ‘এনসিপি’- যেটি সঠিক নয়। কারণ নাম যে ভাষায় লেখা হোক না কেন এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, “আমরা আইন এবং বিধি মোতাবেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”