৬ দফার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার উন্মেষ: প্রধানমন্ত্রী

“বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। এটাই বাস্তবতা। ”

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2023, 06:51 PM
Updated : 7 June 2023, 06:51 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐতিহাসিক ছয় দফার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর স্বাধীনতার উন্মেষ জাগ্রত হয়। তারপর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।

বুধবার জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন। ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে ওই আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ঘোষণা।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

পরবর্তীকালে তিনি ঢাকায় ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযানে নামেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার গুরুত্ব তুলে ধরেন। জনগণের স্বতস্ফূর্ত সমর্থনের মধ্যদিয়ে ৬ দফা হয়ে ওঠে পূর্ব বাংলার জাতীয় মুক্তির সনদ।

১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা আদায়ে আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার উপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। এতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ ১১ জন শহীদ হন।

৬ দফার প্রতি ব্যাপক জনসমর্থন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের সরকার ১৯৬৬ সালের ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।

তাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলার রাজপথ। ৬ দফার সেই আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এগোতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন। আবার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা এনে দেয়।

“বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না’। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। এটাই বাস্তবতা। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে থাকবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, এটাই অঙ্গীকার।”

এই আলোচনায় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সরকারি দলের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ অংশ নেন।