আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নোটিস পেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে নিজেদের জবাব দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন ও সাইফুদ্দিন মিলন।
Published : 05 Apr 2015, 10:00 PM
রোববার বিকাল ৩টার দিকে আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিবুল আলমকে সঙ্গে নিয়ে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে স্থাপিত রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সরওয়ার মোর্শেদ কার্যালয়ে যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন।
এর কিছুক্ষণ পরে জাতীয় পার্টি নেতা সাইফুদ্দিন মিলনও যান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
ভোটের প্রচার শুরুর আগে শুক্রবার দলীয় নেতাদের নিয়ে জুমার নামাজ পড়া এবং সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ায় নোটিস দেওয়া হয় খোকনকে। মিলনকে নোটিস দেওয়া হয় পোস্টারে প্রচার চালানোর অভিযোগে।
“তারপরও যেহেতু আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে, তাই কমিশনের কাছে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছি।”
মিহির সারওয়ার বলেন, “আমরা আমাদের কাছে আসা তথ্য এবং তার (খোকন) উত্তরের সঙ্গে তুলনা করে দেখলাম যে আরচণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি।
“ধর্মীয় উপাসনালয় ব্যবহার করে কেউ প্রচারণা চালালে আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হয়। কিন্তু তিনি সেখানে কোনো ভোট চাননি বা নির্বাচনী প্রচারণা চালাননি। ওই মসজিদের ভেতরে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন কি না, এর কোনো প্রমাণ নেই।”
তবে মিলনকে পোস্টার-ব্যানার নামিয়ে ফেলার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে তা করা না হলে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মিলন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার হাজার হাজার পোস্টার দলীয় নেতাকর্মীরা টানিয়েছে। এটা নামাতে একটু সময় লাগছে। আমি অতি দ্রুত পোস্টারগুলো খুলে ফেলব।”