চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে যারা দুই নেত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, তাদের তা না করার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
Published : 20 Jan 2015, 09:49 PM
মঙ্গলবার সংসদে বক্তৃতায় তিনি বলেন, “কিছু আঁতেল রয়েছে। তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাকে মেলান। আমাকে একজন খুনির সঙ্গে মেলাবেন না।
“আমি রাজনীতি করি জনগণের জন্য। আর উনার উদ্দেশ্য হলে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা, ছেলেকে রক্ষা করা। আমি দুঃখিত, আমাকে এক পাল্লায় দেখবেন না।”
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এই বক্তব্যের দিনই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে চলমান সঙ্কটের অবসানে দুই নেত্রীকে সমঝোতা করার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে নিজের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা।
কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ সরিয়ে নেওয়ার পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংলাপের আহ্বান জানিয়ে সে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “উনি অফিসে আছেন। বাড়ি ছেড়ে অফিসে। এখন তো পুলিশ নাই, অবরোধ নাই। কেন ফিরছেন না?
“এখানে যে থাকবেন তা আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া। পত্রিকায় এসেছে, বাথরুমের টাইলস চেঞ্জ করেছেন, গদি পাল্টেছেন। আরও তথ্য আছে। সব বলতে চাই না।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পুলিশ পাহারা নিয়ে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে নিরাপত্তার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন পার্টি থেকে। নিরাপত্তা দিতে গেলে বললেন অবরোধ। হ্যাঁ, কিছু ব্যবস্থা নিতে হয়।”
নাশকতার জন্য সরকারকে দায়ী করে খালেদার বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষ মারছেন, আর দোষ দিল সরকারের ওপর। এটা নতুন কিছু না। ২১ অগাস্টের পর বলেছিল, আমি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গিয়েছিলাম। আইভি রহমানসহ ২২ জনকে হত্যা করল।
“১৯ তারিখ প্রেস ব্রিফিং দিয়েছেন। ওই জিয়াউর রহমানের জন্মদিন। বক্তৃতায় কোথাও কিন্তু জিয়ার জন্মদিনের কথা উল্লেখ দেখলাম না। জানি না কেউ দেখেছেন কি না। একবারও বলেননি। উনি কী বলেছেন, মিথ্যাচার করে গেছেন। মিথ্য বলা যে তার অভ্যাস এটা নতুন কিছু না।”
“নিজেদের অপকর্ম অন্যের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে বিএনপি নেত্রী। তাদের মিথ্যচার আন্তর্জাতিক পর্য়ায়ে চলে গেছে। বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহর টেলিফোন ও কংগ্রেসম্যানের বিবৃতি-সবই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মিথ্যাচারই তাদের রাজনীতি।”