ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ জলসীমার ন্যায্য হিস্যা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
Published : 09 Jul 2014, 08:41 PM
নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতের রায় মেনে নেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদও জানান সৈয়দ আশরাফ।
গত সোমবার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলার রায় দেয় হেগের পার্মানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন (পিসিএ), যার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার জলসীমার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার অংশে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
“এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ নয়; আইনের মাধ্যমেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।"
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, "বিরোধপূর্ণ জলসীমা নিয়ে কেউই আদালতের দ্বারস্থ হননি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া দফায় দফায় ক্ষমতায় ছিলেন। তারা কেউ এ বিষয়ে কথা বলেননি।
"রায়ও বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে। এখানেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার তফাত। দেশের স্বার্থকে উদ্ধার করার জন্য যা যা করা দরকার তাই তিনি করেছেন।"
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যুদ্ধ করে কোনো সমাধান হয়না। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তান তার উদাহরণ।”
বিএনপি নেতাদের তালপট্টি দ্বীপ নিয়ে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, "যা বর্তমানে বিদ্যমান নেই তা নিয়ে তারা কথা বলছে। তালপট্টি দ্বীপ সেই ১৯৮৬ সালে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন তার কোন অস্তিত্ব নেই।
“বিএনপি এখন তালপট্টির কথা বলেছে। যে জিনিস বাস্তবে নেই, সে জিনিস নিয়ে তারা আহাজারি করছে।"
সমুদ্রসীমা রায় প্রকাশের পর সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ তালপট্টি দ্বীপের অংশটি বাংলাদেশের জলসীমায় না পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন।
সাতক্ষীরার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ তালপট্টির আর অস্তিত্ব না থাকলেও আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সমুদ্রের ওই অংশটি ভারতের ভাগেই পড়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, "বাংলাদেশের বিজয় হলেও একজনের পরাজয় হয়েছে। সবাই খুশি হলেও একজন খুশি হতে পারেননি। যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না, তাদের পরাজয় হয়েছে। আসলে পরাজয় হয়েছে খালেদা জিয়া ও তার দলের।"
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।