বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার যে টেলি কথোপকখন গণমাধ্যমে এসেছে তা সরকার প্রকাশ করেনি।
Published : 29 Oct 2013, 01:18 PM
অবশ্য ‘রাষ্ট্রীয় এ সংলাপ’ সম্পর্কে জানার অধিকার জনগণের রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
দুই নেতার কথোপকখন সরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হয়েছে কিনা বা প্রকাশ করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, “যারা প্রকাশ করেছে তারাই বলতে পারবেন কার কাছ থেকে নিয়েছেন।”
গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার মধ্যে বহু প্রত্যাশিত ওই টেলিফোন আলাপ হয়, যার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সংলাপের পথ খুলবে বলে বিশিষ্টজনদের প্রত্যাশা।
ওইদিন প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতাকে হরতাল প্রত্যাহার করে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় গণভবনে বসার আমন্ত্রণ জানান। তবে খালেদা জিয়া তাকে জানান, হরতাল প্রত্যাহার সম্ভব নয়, তিনি হরতালের পর ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
৩৭ মিনিট স্থায়ী এই টেলিফোন আলাপে বেশকিছু বিষয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় দুই নেত্রীর মধ্যে।
পুরো কথোপকথনের অডিও টেপ একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হওয়ার পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আলোচনার ঝড় ওঠে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “একাত্তর টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার টেলিফোনের কথাবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ নীতিবর্হিভূত ও রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।”
সরকার জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ওই কথোপকথন গণমাধ্যমে সম্প্রচার ‘করিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দুই নেত্রীর ফোনালাপ কোনো ব্যক্তিগত ফোনালাপ নয়, এটি রাষ্ট্রীয় ফোনালাপ। এটি দেশ, জাতি, সংবিধান, রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে ফোনালাপ। এটি রাষ্ট্রীয় সংলাপ, রাষ্ট্রীয় সংলাপ জনগণের সম্পত্তি, জনগণের তা জানার অধিকার আছে।”
“তবে সরকারের পক্ষ থেকে এটি প্রকাশ করা হয়নি”, বলেন তথ্যমন্ত্রী।