ঢাকা, ফেব্র“য়ারি ০৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বলেছে, যে প্রক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে তা অসাংবিধান ও বেআইনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দুপুরে তাৎক্ষণিক প্র্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা মনে করি- নতুন নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ সংবিধানপরিপন্থী। কারণ অনুসন্ধান কমিটি গঠনসহ কমিশন গঠনের পুরো প্রক্রিয়াটি বেআইনিভাবে করা হয়েছে।”
এ কমিশন জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অসাংবিধান ও বেআইনি নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি আগামীতে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।
এ টি এম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান নতুন কমিশন নিয়োগে একটি অনুসন্ধান কমিটি করেন। সেই কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি বুধবার নতুন কমিশন নিয়োগ দেন, যাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হন সাবেক সচিব কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি শুরু থেকেই এই অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। কমিটির আহ্বানে ইসির জন্য কোনো নামও দলটি দেয়নি।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন ইসি নিয়োগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির এভাবে সার্চ কমিটি গঠন করার এখতিয়ার নেই। সংবিধানে সার্চ কমিটি বলে কিছুর অস্তিত্বও নেই।”
“যেভাবে এই কমিটি হয়েছে তা আইনসম্মত ছিল না। প্রধান বিচারপতি কীভাবে এই অসাংবিধানিক কমিটি গঠনের জন্য দুইজন বিচারপতির নাম প্রস্তাব করলেন- তাও আমাদের বোধগম্য নয়”, যোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
সরকার নিজেদের পছন্দের লোককে ইসিতে বসাতে রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে সংলাপ করিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘অসাংবিধানিক’ একটি কাজ করিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে হলে আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন মুখ্য নয়, আমরা একে গুরুত্ব দিচ্ছি না।”
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী, সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, মহানগর বিএনপির সদস্য আবদুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুব দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/জেকে/১৪৪০ ঘ.