দেশের জনগণকে ‘অপকর্মের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন।
Published : 31 Mar 2022, 06:26 PM
বৃহস্পতিবার ‘নৈতিক সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “অনৈতিক নানা অপকর্মের জন্য দেশের ক্ষতি হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আপনারা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করুন, সোচ্চার হোন।
“দেশে নৈতিকতা ফিরিয়ে আনতে হবে। অনৈতিক অপকর্ম থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। দেশে আইনের শাসন, মানবিক সুরক্ষা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা সকলে কাজ করে যাবেন, এই কাউন্সিল অধিবেশন আমরা এই প্রত্যাশা আমি করছি।”
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘নৈতিক সমাজ’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশন হয়। তাতে কামালের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
‘এরা নীতিহীন’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “এই সরকার নীতিহীন। এরা গায়ের জোরে ডাকাতি করে ক্ষমতা নিয়েছে। বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় যে কোনো লোককে জিজ্ঞাসা করবেন তারা এই কথা বলবে।
“ওরা বলেছিল না, যে ১০ টাকা করে চাল খাওয়াবে যদি ক্ষমতায় যায়? এখন চাল কত করে? সমস্ত জিনিসের দাম কত? এই দাম বেড়ে গেছে, এই দাম বেড়ে যাওয়া কি যৌক্তিক?”
মান্না বলেন, “টিসিবির ট্রাকের নিচে পেছনে লোকেরা লাইন দিচ্ছে, এটা দেখতে কি ভালো লাগে? ট্রাক চারশ জনের জিনিসপত্র দেবার পরে আরো চারশজন দাঁড়িয়ে থাকে। ট্রাক যখন চলে, তার পেছনে পেছনে মানুষজন দৌড়াতে থাকে।
“…এতো বড় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছিল, আপনারা এর আগে দেখেননি। ৭৪-এ দুর্ভিক্ষ আমরা দেখেছিলাম, আর এতোদিন পরে সেই একই দল ক্ষমতায় থাকবার পরে একই দৃশ্য আমরা দেখছি।”
নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথাও তুলে ধরেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক।
তিনি বলেন, “আমরা বলছি, এই সরকার চলে গেলে তারপরে কোন সরকার আসবে? সাথে সাথে তো নির্বাচন আসবে না। ওই নির্বাচন করবার জন্য তো সময় লাগবে এবং সেই নির্বাচনটা করবে কীভাবে?
“এই ডিসি, এই এসপি, এই ওসি নির্বাচনে থাকলে বিরোধী দল নির্বাচন করতে পারবে? এই পুলিশ ভোট ডাকাতি করেছে না? এই আর্মি চুপচাপ বসে দেখেছে না? বিজিবি-র্যাব দেখেছে না? তারা নৈতিকভাবে এবং মৌনভাবে সমর্থন দিয়েছে না?
“এখন আমরা বলছি, পুরো প্রশাসন বদলে দিতে হবে।”
নৈতিক সমাজের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ম সা আ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, শিল্পী কামরুন্নেসা খান নাসরিন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আজিজ বক্তৃতা করেন।