বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ নেবেন বিকালে।
Published : 23 Feb 2022, 11:14 AM
মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে গিয়ে তিনি টিকা দেবেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ম্যাডামের তৃতীয় ডোজ, অর্থাৎ বুস্টার ডোজ টিকার এসএমএস এসেছে। তিনি বেলা আড়াইটা-তিনটার মধ্যে টিকা নিতে হাসপাতালে যাবেন। সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
করোনাভাইাসে আক্রান্ত হয়ে গতবছর এপ্রিলে হাতপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। সেরে ওঠার পর গত বছরের ৮ জুলাই তিনি ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করেন।
১৯ জুলাই শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট থেকেই মর্ডানার টিকার প্রথম ডোজ নেন খালেদা। এক মাস পর ১৮ অগাস্ট নেন দ্বিতীয় ডোজ।
বুস্টার ডোজে খালেদা জিয়া কোন টিকা পাচ্ছেন জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, “সম্ভবত ফাইজার।”
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বুহ বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। দীর্ঘ ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য জাহিদ হোসেন বলেন, “ম্যাডামকে আমরা হাসপাতাল থেকে যেভাবে নিয়ে এসেছি, তেমনই আছেন। বলতে পারেন, উনার শারীরিক অবস্থা একরকম স্থিতিশীল আছে। বাসায় মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডাম চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদার পরিবারের আবেদনে তাকে গত বছরের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। তবে তাতে শর্ত ছিল, তাকে দেশেই থাকতে হবে।
তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে কয়েক দফা আবেদন করা হলেও সরকারের তরফ থেকে সাড়া মেলেনি।