সাতই নভেম্বর ঘিরে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
Published : 03 Nov 2021, 02:48 PM
বুধবার সকালে নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ৬ নভেম্বর বেলা ২টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনাসভা করবে বিএনপি। পরদিন ৭ নভেম্বর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠান হবে।
৭ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলের সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করা হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনা প্রধানের দায়িত্ব আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হন জিয়া।
৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, পরে দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
জিয়া মুক্ত হওয়ার পর সামরিক আদালতের কথিত বিচারে তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। খালেদ মোশাররফ ও তার সঙ্গী মেজর হায়দারসহ অনেককে হত্যা করা হয়, যাদের অধিকাংশই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আওয়ামী লীগ ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে স্থানীয় কমিটিগুলো ব্যবস্থা নেবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।