করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘কঠোর লকডাউন’ সফল করতে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ক্ষেতমজুর সমিতি।
Published : 30 Jun 2021, 07:40 PM
লকডাউন শুরুর আগের দিন বুধবার ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা এই দাবি জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ক্ষেতমুজর সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, “অতীতে যত লকডাউন হয়েছে তাতে দেখা গেছে ‘দিন আনে দিন খাওয়া’ মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ক্ষুধার তাড়নায় এসব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।
“ফলে করোনা মহামারী মোকাবেলায় সকল গরিব মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গ্রামের মানুষের করোনা টেস্ট ও ভ্যাকসিন দিতে হবে।”
ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা বলেন, ঢাকা শহর থেকে গ্রামের মানুষ বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। নানা ভোগান্তি সত্ত্বেও শহরের অনিশ্চিত জীবন থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে তাদের যেতে হচ্ছে।
ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা বলেন, “করোনাকালে প্রণোদনার নামে বড়লোক ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও গরিব মানুষের ভাগ্যে কিছুই জোটে না। গত প্রায় দেড় বছরে করোনাকালে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। অথচ সরকার মাত্র প্রথমবার ৫০ লক্ষ ও দ্বিতীয়বার ৩৫ লক্ষ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করে। আবার সেখানে বেশিরভাগই লুটপাট হয়ে যায়।”
আগামী সাত দিন ‘কঠোর লকডাউনে’ গরিব মানুষ যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায় এবং হাসপাতালে যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পায়, তা নিশ্চিত করার দাবি জানান ক্ষেতমুজর সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার বাপ্পী।
সমাবেশে ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা কল্লোল বণিক, হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বক্তব্য রাখেন।