বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালন-পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 10 Jun 2021, 03:00 PM
বৃহস্পতিবার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশে এখন অদৃশ্য ও দৃশ্যমান দুইটি শত্রু বিরাজমান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “অদৃশ্য শত্রু হচ্ছে করোনা আর দৃশ্যমান শত্রু বিএনপি। বিএনপি মুখোশের আড়ালে বহুরূপী দানব। বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের বুলি নিয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালন-পালন করছে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ ও করোনাভাইরাসকে দেশের দুই শত্রু হিসেবে উল্লেখ করে বক্তব্য দেন।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষ থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে, তাই বলে কেউ কাউকে শত্রু ভাবা ঠিক নয়। দায়িত্বশীল বিরোধীদল উন্নয়নের সহযাত্রী, কিন্তু বিএনপি নিজেরা তাদের কর্কট রূপ প্রমাণ করেছে।
“আওয়ামী লীগকে বিএনপি শত্রু মনে করে বলেই পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার নীলনকশায় জড়িত এবং বেনিফিশিয়ারি তারা। শেখ হাসিনাকে শত্রু মনে করে বলেই ২১ অগাস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি।”
বিএনপি আতংকে ভুগছে বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় দাবি করে তিনি বলেন, “তারা ক্ষমতার হ্যালুসিনেশনে ভুগছে। তাই দেশের উন্নয়ন এবং উত্তরণ তাদের গায়ের জ্বালা বাড়ায়। ইতিহাস বলে বিএনপি যাদের বন্ধু তাদের শত্রুর দরকার নেই।
“এদেশের সমৃদ্ধি নয়, ধ্বংসই বিএনপির মনোবাসনা। যাদের ক্ষমতা লিপ্সার কাছে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভূলুণ্ঠিত হয়, যারা জনগণের কাছে যাওয়ার নৈতিক মনোবল হারিয়ে বিদেশি শক্তির দ্বারে ধরণা দেয়, তারা আওয়ামী লীগের ক্ষতি সাধনের জন্য, দেশ ও জাতির যেকোনো ক্ষতি করতেও প্রস্তুত।”
‘ব্যর্থ’ রাজনৈতিক দল হিসেবে ইতিমধ্যে ইতিহাসের কাঠগড়ায় বিএনপির ‘বিচার শুরু হয়ে গেছে’ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথ আর ভোটার বাক্স ‘তার প্রমাণ’।
“মিথ্যাচার আর প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে ঠেকেছে। বর্ষণ নয়, তর্জন-গর্জনেই ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের অর্জন সীমাবদ্ধ।”