আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠে না থাকায় বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Published : 03 Jan 2021, 04:31 PM
রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি অভিযোগ করে আসছে রাজনীতিতে তাদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে, প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “আমরা স্পেস দিয়ে রেখেছি, তাদের স্পেস নিতে হবে। কে দিচ্ছে না? তাদের সময়ে পুলিশের আক্রমণে রাসেল স্কয়ারে আব্দুস সামাদ আজাদের মত নেতা আহত হয়েছে। অন্তঃস্বত্তা নারীকে রাজপথে পেটানো হয়েছে।”
রাজনীতির পথ এত সুখকর নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাদের নেতারা কখনও আসে না। আন্দোলনের ডাক দেয়, ডাক দিয়ে ঘরে বসে বসে হিন্দি সিনেমা দেখে। তারা তো মাঠে থাকে না, নেতা না থাকলে কর্মী কিভাবে থাকবে?
“খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। আমাদের সব নেতারা মাঠে ছিল, কর্মীরা অনেক সময় আসতে পারত না ভয়ে। তাদের নেতারা সেই সাহসটা এখনও দেখাতে পারল না। ঘরে বসে বসে মোবাইল ফোনে পুলিশের গতিবিধি দেখে, এটা তো হয় না। সক্ষমতা তো এখনও দেখাতে পারল না।”
কাদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা ও উদারতার জন্যই আজকে খালেদা জিয়া বাইরে আছেন। বিএনপি এই শহরে এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে মিছিল করতে পারেনি। খণ্ড খণ্ড দুই চারটা মিছিল হবে, তাও তো না।”
বিএনপির মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিকে তামাশা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা ২০ দল একসাথে ছিল, কই আন্দোলন করল? আর মধ্যবর্তী নির্বাচন কি মামা বাড়ির আবদার? কি কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচন? জনদাবি ছাড়া এটা কিভাবে বলে? হুট করে বিবৃতি দিয়ে দিলাম মধ্যবর্তী নির্বাচন, এটা তো মামা বাড়ির আবদার না। আমরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য মধ্যবর্তী তামাশা চাই না।”
এখনও অনেকে নজরদারিতে
দুনীতি দমনে এখনও অনেকে নজরদারিতে আছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
“আমরা কাউকে ছাড় দিয়েছি কিনা সেটা হল প্রশ্ন। আমাদের আমলে প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে টার্গেট হয়েছে আমাদের দলের লোকেরা। যারাই যখন ধরা পড়েছে আমাদের পরিচয় ব্যবহার করে, যেমন সাহেদ যেটা করেছে। তাকে কিন্তু ছাড় দেওয়া হয়নি।
“আমাদের অনেক জনপ্রতিনিধি জেলখানায় আছে। ত্রাণে অনিয়মে অনেকে জেলে আছে। সরকার নিজেদের লোকদের ছাড় দিলে তো আরও দুর্নীতি বলুন, অনিয়ম বলুন ভয়াবহ বিস্তার করত, ক্যাসিনো থেকে শুরু করে এখনও শুদ্ধি অভিযান চলছে। এখনও অনেকে নজরদারিতে আছে।”
কাদের বলেন, “আমাদের কোথাও কোন সমস্যা হলে দলীয়ভাবে কেউ যদি কোথাও অনিয়ম করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের দলে সাংগঠনিকভাবে যেটা কখনও হয়নি গতবার যারা বিদ্রোহী ছিল এবার ঠিক করেছি তারা বিজয়ী হলেও মনোনয়ন দিচ্ছি না।”
অনেকভাবেই দল শাস্তি দিতে পারে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের, “অনেকে অনেক বড় জায়গায় থাকে, সেখান থেকে ছিটকে পড়েছে। এটাও শাস্তি। নানাভাবে দল শাস্তি দিতে পারে। শাস্তিরও নতুন ধরণ আছে।”
মন্ত্রিসভায় রদবদলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মহামারী পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী নিজেই তদারক করছেন। মন্ত্রিসভার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে কোথাও কোনো অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তারপরও রুটিন পরিবর্তন হয়, হয়ত প্যানডেমিকের কারণে সেটি হচ্ছে না, হয়ত হবে।”
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন জানুয়ারি শেষ নাগাদ আমরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাব।”